
বিনোদন ডেস্কঃ
কাজটা কঠিন ছিল, বাট সহকর্মী দুলাল, অভিনেতা শাওন আশরাফ যখন পাশে দাঁড়ালো তখন কাজটা আর কঠিন মনে হয়নি। গাজীপুরে টানা ৯ দিনের শুটিং শেষ করে যখন এডিটিং প্যানেলে বসি, তখন আমি নিজেই অবাক, বেগম রোকেয়ার জীবনী নিয়ে আমি টেলিফিল্ম বেগম রোকেয়া বানিয়েছি।
টানা নয় দিনই মৌসুমিসহ অন্যান্য শিল্পিরা আউটডোরে অবস্থান করেই শ্যুটিং শেষ করেছে। আমার জীবনে এটাই শ্রেষ্ঠ কাজ। আমার মৃত্যুর পর নিশ্চয় এমন কাজ আমায় বাঁচিয়ে রাখবে।
বেগম রোকেয়ার চরিত্রে মৌসুমি অনবদ্য অভিনয় করেছিলেন। বাংলা উর্দুর উচ্চারণে মৌসুমির ভয়েজ ডেলিভারিতে মনে হয় নি মৌসুমি উর্দু জানে না।
পাশাপাশি বন্যা মির্জা, আল মামুন, শঙ্কর সাজোয়াল, মানস বন্দোপধ্যায়, এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা নাসিমা খান, নতুন মেয়ে তানিয়া শোভা সবাই ভাল অভিনয় করেছিল। টোটাল টিমওয়ার্ক ছিলো অসাধারণ।
সবচেয়ে সেক্রিফাইস করেছে বন্যা মীর্জা ! ৬ টা সিকোয়েন্সে তার কোনও ডায়লগই ছিল না, শুধু ফেস রিয়াকশন ছিলো। কোন ডায়লগ না থাকায় শুটিঙের আগের রাতে বন্যা আমায় ফোন করে শুটিঙের সময়ে প্রকাশ্যে মাথা ফাটাবে বলেছিল। যদিও পরবর্তীতে এমন কোন অঘটন সেখানে ঘটেনি !
টেলিফিল্মের স্ক্রিপ্ট লিখেছিলেন পরম শ্রদ্ধেয় কায়েস চৌধুরী। প্রযোজনায় ছিলো প্রান্ত টেলিফিল্ম। আমার মেয়ে রুপ্তিও অভিনয় করেছিল এই টেলিফিল্মে। আবহ সংগীতের কাজ করেছিলো সুরকার আলম শাহ। বিস্ময়কর ভাবে টেলিফিল্ম বেগম রোকেয়ার সিডি প্রায় ৫ লক্ষ টাকার উপরে বিক্রি হয়েছিলো।
নারী দিবসে বেগম রোকেয়া এটিএন বাংলায় অনএয়ার হয়েছিল। প্রয়াত চলচিত্র পরিচালক সুভাষ দত্ত নায়িকা শাবানাকে নিয়ে পূর্ণ দৈর্ঘ্য সিনামা বানাতে চেয়েছিলেন। এমনকি মহরতও করেছিলেন।
কিন্তু পরে সেই পরিকল্পনা বা চলচিত্র আর বাস্তবের মুখ দেখে নি। তবে সেই সুভাষ দত্তর টিকাটুলির বাসায় গিয়ে তার দোয়া নিয়ে টেলিফিল্ম বেগম রোকেয়ার কাজ শুরু করেছিলাম !
মৌসুমির প্রতি অলওয়েজ কৃতজ্ঞতা। অনেক কষ্ট করেছেন তিনি। কৃতজ্ঞতা আমাদের জামাই ওমর সানির প্রতিও, শিডিউল মিলাতে সানি অনেক হেল্প করেছিলেন।
নারী দিবসে দেশে বিদেশে সকল নারীকে অভিনন্দন।
লেখক: শাহীন রহমান, পরিচালক, টেলিফিল্ম, বেগম রোকেয়া