
স্পোর্টস ডেস্কঃ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষ হচ্ছে আজ। দুবাইয়ে ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড। দুদল আগেই গ্রুপপর্বে লড়াই করেছে। এটি তাদের দ্বিতীয় সাক্ষাৎ। একদিনের ক্রিকেটে দুই দল ১১৯ বার মুখোমুখি হয়েছে। ভারত জিতেছে ৬১টি ম্যাচে। নিউজিল্যিান্ড ৫০টি। একটি ম্যাচ টাই হয় এবং সাতটি পরিত্যক্ত। দুদলেই রয়েছেন তারকা ক্রিকেটাররা। মরণপণ লড়াই হবে তাদের মধ্যেও-
ম্যাট হেনরি বনাম শুবমান গিল
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের সফলতম বোলার হেনরি। চার ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন। তার আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে দুটি ম্যাচে নেন পাঁচ উইকেট। হেনরির ওপর দায়িত্ব থাকবে শুবমানকে আটকানোর। শুবমান রানের মধ্যে রয়েছেন। দুটি শতরান এবং দুটি অর্ধশত রান তার। তবে গত দুই ম্যাচে রান পাননি। শুবমানকে ৮১ বল করে ৬২ রান হজম করেছেন হেনরি। আগের ম্যাচেই আউট করেছেন শুবমানকে। ৮৯ ইনিংসে ১১৩ জন ডান-হাতি ব্যাটারকে আউট করেছেন হেনরি। শুবমানও ডান-হাতি বোলারদের বিরুদ্ধে ভালো করেন। তাই জমাট লড়াই হতে পারে।
মিচেল স্যান্টনার বনাম বিরাট কোহলি
স্যান্টনারের নিখুঁত বোলিং এবং বৈচিত্র্য কিউইদের অন্যতম অস্ত্র হতে পারে। কোহলিকে বৈচিত্র্য দিয়ে ঘায়েল করতে পারেন। ইদানীং স্পিনের বিরুদ্ধে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে কোহলির। তবে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে রান পাননি। স্যান্টনারের বিরুদ্ধে কোহলির গড় ৬০ এর উপর। তবে চারবার আউটও হয়েছেন। কোহলি ২৫৯ বল খেলে ১৮০ রান করেছেন। ১০৯টি ডট বল খেলেছেন। ডান-হাতিদের বিরুদ্ধে স্যান্টনারের গড় বেশ ভালো। সেখানে কোহলি বাঁ-হাতি স্পিনারদের বিরুদ্ধে ১৫৯৬ রান করলেও ২৪ বার আউট হয়েছেন।
মাইকেল ব্রেসওয়েল বনাম শ্রেয়াস আয়ার
প্রথম সারির স্পিনার নন। কিন্তু নিউজিল্যান্ড দলে ব্রেসওয়েলের ভূমিকা অনস্বীকার্য। খণ্ডকালীন স্পিনার হিসাবেও দলকে সাহায্য করতে পারেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চারটি উইকেট নিয়েছিলেন। শ্রেয়াসের বিরুদ্ধে তার লড়াইয়ে চোখ থাকবে। কারণ শ্রেয়াস যে সময়ে ব্যাট করেন, সেই সময়েই বল করতে আসেন ব্রেসওয়েল। শ্রেয়াস স্পিন খারাপ খেলেন না। ডান-হাতি ব্যাটারদের বিরুদ্ধে ২৮ ইনিংসে ২১ উইকেট নিয়েছেন ব্রেসওয়েল। ডান-হাতি অফ-স্পিনারদের বিরুদ্ধে শ্রেয়াসের গড় ৬৬ এর কাছাকাছি। মাত্র চারবার আউট হয়েছেন। স্ট্রাইক রেটও ১০০র উপরে।
মোহাম্মদ শামি বনাম ডেভন কনওয়ে
বাকি ম্যাচগুলোর মতো ফাইনালেও ভারতের বোলিং বিভাগকে নেতৃত্ব দেবেন মোহাম্মদ শামি। কিউইদের কাজ কঠিন করে তুলতে পারেন। দীর্ঘ চোট-আঘাতের পর শামি ভালো ফর্মে রয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে উইকেট পাননি। তবে ২০২৩ একদিনের বিশ্বকাপে সাত উইকেট নিয়েছিলেন। তার প্রধান লক্ষ্য থাকবে কনওয়েকে আউট করা। শামির আটটি বলে কনওয়ে মাত্র একটি রান করেছেন। একবার আউট হয়েছেন। ৯৯ ইনিংসে ৬১ জন বাঁ-হাতিকে আউট করেছেন শামি। কনওয়ে আবার ডান-হাতি পেসারদের বিরুদ্ধে ৩১ ইনিংসে ৫৮৭ রান করেছেন। ১৮ বার আউট হয়েছেন।
রবীন্দ্র জাদেজা বনাম কেইন উইলিয়ামসন
জাদেজার বাঁ-হাতি স্পিন ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনিও নিখুঁত লাইন-লেংথে বোলিং এবং বৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত। তার সামনে পরীক্ষা দিতে হবে উইলিয়ামসনকে। সাবেক কিউই অধিনায়ক নিজে স্পিন ভালো খেলতে পারেন। জাদেজাকে কীভাবে সামলান সেটাই দেখার। আটটি একদিনের ম্যাচে জাদেজার বিরুদ্ধে উইলিয়ামসনের গড় ৬৭। ২০৭ বলে ১৫৯ রান করেছেন। দুবার আউট হয়েছেন। বাঁ-হাতি স্পিনারদের বিরুদ্ধে উইলিয়ামসনের ভালো গড় রয়েছে। ৬৭ ইনিংসে ৯২৭ রান করেছেন ৬৬.২১ গড়ে। ডান-হাতি ব্যাটারদের বিরুদ্ধে ১৮২টি উইকেট রয়েছে জাদেজার।