
বিশেষ প্রতিনিধি:
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন এবার খুলনা সদর আসনে প্রার্থী হচ্ছেন। সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হবার থেকে নগরীর সর্বত্র তুহিনের প্রার্থীতার এমন গুঞ্জন খুলনার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
তুহিনের সমর্থকদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে গেছে। তুহিন প্রার্থী হচ্ছেন” এমন গুঞ্জন খুলনার সর্বত্র চলমান, ঠিক এমন সময়ে বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে তুহিন বলেছেন, জনগনের জন্য রাজনীতি করে আসছি। এই রাজনীতির আরও ব্যাপ্তি বাড়াতে চাই। এমপির জন্য প্রার্থীতা চাইব, দল ও জনগন চাইলে প্রার্থী হবো।
তুহিন জানান, খুলনা উন্নয়নে ও গনতন্ত্র- ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে এরশাদ আমলে ছাত্রজীবন থেকে কাজ করে আসছি। রাজপথেই চার দশক সময় কেটে গেছে। পরিবারকে পর্যন্ত সময় দেই নি। নিঃসন্দেহে এটা একটা লং জার্নি। সেই ক্ষেত্রে এমপি প্রার্থী হতে চাওয়া দোষের কিছু? তবে, আলাপকালে তুহিন এটাও বলেছেন, দলে তিনি যদি মনোনয়ন না পান, দলের মনেবীত প্রার্থী যিনি হবেন, তার পক্ষেই কাজ করবেন।
শহরের ডাল মিল মোড়ের বাসভবনে অন লাইন নিউজ পোর্টাল প্রথম সময় নিউজ ডটকমের সাথে আলাপকালে সদ্য নির্বাচিত দলের মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক মহানগর নেতা তুহিন বলেন, খুলনার মাটি বিএনপির ঘাটি। ইনশাআল্লাহ আগামীতেও খুলনা শহরের দুটি আসনেই বিএনপি প্রার্থী জয়লাভ করবে।
তুহিন বলেন, গত ১৭ বছরে দলের পরে অনেক ঝড় ঝঞ্জা বয়ে গেছে। তারপরেও দলের পরিধি বেড়েছে। নেতা-কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে। গুটি কয়েক নেতা দল ছেড়ে গেছেন। তাতে দলের বিন্দুমাত্র ক্ষতি হয় নি। আপন গতিতে হাজার হাজার নেতা-কর্মীর সিক্ত ভালবাসায় দল চলছে।
তুহিন জানান, সম্মেলনের আগে নগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে বিভিন্ন পেশার জনগনকে দলে সম্পৃক্ত করতে সব বয়সী পেশার লোকজনের উপস্থিতিতে সুধি সমাবেশ করা হয়েছে। নগরবাসীর আস্থা শ্রদ্ধেয় নেত্রী, গনতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রি বেগম জিয়া- দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকেই রয়েছে।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে রাষ্ট্র কাঠামো বিনির্মাণে ৩১ দফা ঘরে ঘরে পৌছানো হয়েছে। দলের শত শত নারি কর্মী দলের জন্য সবসময়ে কাজ করছে। তারা ভোটের জন্য, আগামীতে ধানের শীষের জয়ের জন্য কাজ করছে। সম্মেলনের আগে অন্তত ৫০ হাজার নতুন সদস্য ফরম পুরন করে শুভাকাঙ্ক্ষী হিসাবে দলে নাম লিখিয়েছেন।
সদর আসনের সাবেক এমপি আলি আসগর লবি বিএনপি থেকে প্রার্থী হচ্ছেন, এমন প্রশ্নে তুহিন জানান, আমাদের জানামতে তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সাথে হাত মিলিয়ে নিজেকে-:নিজের সহায় সম্পত্তি ধরে রাখতে দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। আওয়ামী লীগার সেজেছেন। এরা বর্ণচোরা এমন মন্তব্য এক সময়ের তুখোড় ছাত্রদল নেতা, অনলবর্ষী বক্তা তুহিনের।
সদর আসনের আরেক সারেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু প্রসংগ তুহিন বলেন, তিনি দল থেকে অব্যহতি পেয়েছেন। দলের মূলধারায় সক্রিয় নন। তার বিষয়টি দলের হাইকমান্ড দেখছে।
তুহিন বলেন, একজন এমপিকে জনগন সার্বক্ষণিক নেতাকে কাছে পেতে চায়। এমপি হওয়া মানে জনগনের জন্য- সবসময় সার্ভিসের জন্য জনকল্যাণে নিজেকে আত্মনিয়োগ করা। খুলনাবাসীর জন্য আমার দরজা সবসময়ের জন্য খোলা এমন কথা বললের দিন রাত মিলিয়ে ষোল থেকে আঠারো ঘন্টা কাজ করা, রাজপথ থেকে উঠে আসা আপাদমস্তক কর্মীবান্ধব এই নেতা।