
বিশেষ প্রতিনিধি:
সেখ জুয়েল এখন বিধান মল্লিক সংবাদটি সত্য নয় এমনটি জানিয়েছে সেখ জুয়েল। তার বরাত দিয়ে খুলনা আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা, যিনি ৮০র দশকে একজন সাবেক ছাত্রনেতা ছিলেন, তিনি জানান এমন অবৈধ সুযোগ তিনি নেন নি। নেবার প্রশ্নই আসে না। মিডিয়া বিমুখ সেখ জুয়েল এমন সংবাদ প্রকাশে প্রচন্ডভাবে মর্মাহত, বিস্মিত, ক্ষুদ্ধ। বিষয়টি নিয়ে তিনি বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন। সারাদেশের দলের নেতা-কর্মী সবাইকে এমন কাল্পনিক সংবাদ আহত করেছে।
সেখ জুয়েলের যে আইডি কার্ডটা প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেওয়া হয়েছে সেটি ভুয়া এবং ভারতে যে এনআইডি কার্ড প্রতিবেদনে দেওয়া হয়েছে সেটিও সম্পূর্ণ ভুয়া। শেখ জুয়েল ভারতে গিয়ে বিধান মল্লিক নামের আধার কার্ডে জানা গেছে, কার্ড নেওয়ার দাবিতে যে ছবিটি পাওয়া যাচ্ছে সেটি ভুয়া।
সূত্র বলছে, তার নেওয়া কথিত আধার কার্ডের নম্বরটি যাচাইয়ে এমন কোনো কার্ডের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ইউআইডিএ-র ওয়েবসাইটে শেখ জুয়েলের কথিত আধার কার্ডের নম্বরটি (৮৪৪২০৫৬৭৫৭২৬) ইনপুট দেওয়া হয়। এতে দেখা যায়, এটি একটি ইনভ্যালিড নম্বর। অর্থাৎ, এই নম্বরের বিপরীতে কোনো আধার কার্ড নেই। ফলে কথিত এই আধার কার্ডটির বিপরীতে আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
খুলনা সদর আসনের সাবেক এমপি সেখ জুয়েলের বরাত দিয়ে এই সাবেক ছাত্রনেতা আরও বলেছেন, কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে এটা মুল আইডি তাহলে সেখ জুয়েল রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। আর রাজনীতি করবেন না।
প্রথম সময়ের সাথে আলাপকালে সাবেক এই ছাত্রনেতা দায়িত্ব নিয়েই বলেছেন, এটি সত্য প্রমাণিত করতে পারলে তিনিও (সাবেক ছাত্রনেতা) রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। সাবেক ছাত্রনেতা দাবি করেছেন, এমন প্রতিবেদন প্রকাশের মধ্য দিয়ে পরিকল্পিতভাবে এটি আওয়ামী লীগ তথা খুলনার শেখ পরিবারের ভাবমূর্তি নষ্ট করবার জন্যই এই সরকারের অপচেষ্টা।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ দেশের শীর্ষ স্থানীয় দৈনিকে “সেখ জুয়েল এখন এখন বিধান মল্লিক” এমন প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নেটিজনদের মধ্যে কৌতুহলের সৃষ্টি হয় এমনকি এই খবরটি রীতিমতো ভাইরাল হয়।
গত পাঁচ আগস্ট গন অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী- এমপি, নেতাদের অধিকাংশ পালিয়ে যায়। সেই থেকে সেখ জুয়েল ও অন্যান্যরা আত্মগোপনে আছেন।