
অনলাইন ডেস্কঃ
মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরও দেশটির যুদ্ধবিধ্বস্ত একাধিক অঞ্চলে বিমান হামলা চালিয়েছে জান্তা সরকার। ভূমিকম্পে দেশটিরতে ইতোমধ্যে ১ হাজার ৬০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। খবর বিবিসি
জাতিসংঘ এই হামলাকে পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য এবং নিন্দনীয় বলে মন্তব্য করেছে।
বিশেষ প্রতিবেদক টম অ্যান্ড্রুজ বিবিসিকে জানিয়েছেন, ‘ভূমিকম্পের পর যখন মানুষকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে, তখনও সেনাবাহিনী বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য।’ চার বছর আগে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করা সামরিক সরকারকে সব ধরনের হামলা বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন টম অ্যান্ড্রুজ।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ওপর যাদের প্রভাব খাটানোর সুযোগ রয়েছে। তাদের উচিত হামলা বন্ধে চাপ প্রয়োগ করা। কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ধরনের হামলা অগ্রহণযোগ্য।
তিনি বলেন, জান্তা বাহিনীকে সব ধরনের সামরিক অভিযান বন্ধ রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবিসি বার্জিম জানিয়েছে, উত্তর সান রাজ্যের নাওয়াংচোতে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় সাতজন নিহত হয়েছে। ভূমিকম্প আঘাত হানার তিন ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যেই বিমান হামলা চালায় জান্তা বাহিনী।
জান্তা সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটাতে লড়াই করা মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী বিদ্রোহী গোষ্ঠী জানিয়েছে উত্তর-পশ্চিম সাগাইং রাজ্যের চাং-ইউ শহর জুড়ে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল। এছাড়া থাই সীমান্তের কাছেও বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক প্রশাসনের প্রতিনিধিত্বকারী দ্য ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) রোববার (৩০ মার্চ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ ছাড়া তারা আগামী দুই সপ্তাহের জন্য সব ধরনের সামরিক অভিযান বন্ধ রাখবে। বিশেষ করে ভূমিকম্পের কারণে যেসব এলাকা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার মিয়ানমারের সাগাইংয়ে ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর প্রভাব পড়ে প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডেও। এছাড়া এই ভূমিকম্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালা, রাজধানী নাই পিদো।
জান্তা বাহিনী জানিয়েছে, ভয়াবহ ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬৪৪ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আরও অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে।