
বিশেষ প্রতিনিধি:
ভিনি, ভিডি, ভিসির মতোই তার অবস্থা, এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। তিনি পাপুল, জিয়াউর রহমান পাপুল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কিংবদন্তী ছাত্রদল নেতা।
৯০ এর এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের ফ্রন্টলাইনের ফাইটার। ৯০ থেকে ২০২৫। জীবনের লং জার্নি। এতো টুকু ক্লান্তি নেই। জনপ্রিয়তায় নুন্যতম ভাটা পড়ে নি।
ছাত্রজীবন- চাকরি জীবন কি রাজনৈতিক জীবন, সবক্ষেত্রেই সব কিছুই মেধা- দূরদর্শিতা- অভিজ্ঞতা দিয়েই চলছেন। মানুষের মন জয় করে চলছেন। ব্যক্তিগত ব্যবহার, অন্যকে সম্মান করার মানসিকতা পাপুলকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। আমজনতার কাছে পাপুল হয়ে উঠেছেন আস্থা- নির্ভরতার প্রতীক।
পাপুল এবার দাকোপ- বটিয়াঘাটা নিয়ে গঠিত খুলনা- ১ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। বিরেটের নিজ জন্মভুমিতে একটি ক্রীড়ানুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মাস তিনেক আগে, সেই থেকে শুরু।
দাকোপ- বটিয়াঘাটা মিলে গোটা চারেক প্রোগ্রাম করেছেন দলের ব্যানারে। দুটি ক্রীড়ানুষ্ঠান, একটি ইফতার মাহফিল আর একটি নামযজ্ঞ অনুষ্ঠান। ব্যাস পাপুলকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয় নি। চার চারটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পাপুলের পরিচিতি- অগ্রযাত্রা- মানুষের হৃদয় পর্যন্ত বার্তা পৌঁছে গেছে।
সদ্য বিদায়ী ঈদের ছুটিতে পাপুলকে কোথাও যেতে হয় নি। প্রতিদিন শয়ে শয়ে নারী- পুরুষ, আবাল বৃদ্ধ বনিতা, দল মত নির্বিশেষে পাপুলের বানরগাতি বাসায় নিয়মিত আসছেন। একাধিক নারী- পুরুষের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, তারা মূলত পাচটি কারণে পাপুলকে নেতা হিসাবে মেনে নিয়েছেন।
প্রথমত, পাপুল উচ্চ শিক্ষিত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেছেন। তার মধ্যে কোন শঠতা নেই। কোন নয়ছয় নেই। গ্রামের সহজ সরল মানুষ এই কারণেই তাকে নেতা মেনেছেন। তাইতো, হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা দিয়ে অবহেলিত দাকোপ- বটিয়াঘাটার মানুষ মায়ার বন্ধনে পাপুলকে আবদ্ধ করেছেন। পাপুলের ব্যক্তিত্বকে পছন্দ করেছেন।
দ্বিতীয়ত, চাকরি জীবনে পাপুল উচ্চ পদস্থ একজন কর্মকর্তা। চাকরির দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, ব্যক্তিগত সততা- সুনামের কারণে পাপুল সব মহলেই সমাদৃত, প্রশংসিত। ব্যক্তি জীবনে পাপুল প্রচন্ড ধৈর্যশীল। একই সাথে সামাজিক, মিশুক, অতিথিপরায়ণ। কথা বার্তায় কমিটেড। পাপুলের প্রয়াত পিতাও একজন অবসরপ্রাপ্ত উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। দীর্ঘজীবনে পাপুলের গুড ইমেজ চলমান। কোথাও কোন কলঙ্কের ছাপ নেই যা একজন রাজনীতিকের জীবনের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
তৃতীয়ত, আগে যারা বিএনপি করেছেন, দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন, তারা নানা কারনে বিতর্কিত, সমালোচিত। এই আসনে সনাতন সম্প্রদায়ের ভোট বেশি। পাপুলের কথা- বার্তায় সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন আশ্বস্ত। পাপুলের মাঝে তারা আস্থা ফিরে পেয়েছেন। নিজেদের নিরাপত্তা পেয়েছেন।
পাপুলকে তারা নিজেদের পরিবারের লোক মনে করছেন। পাপুল নিজেও সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজনকে বলেছেন, আপনারা নির্ভয়ে থাকুন। নিশিন্তে থাকুন। কেউ আপনাদের পরে হামলা বা নির্যাতন করলে বা চেষ্টা করলে আমাকে জানান। আপনাদের দেখবারের দায়িত্ব আমার।
চতুর্থত, সম্রান্ত পরিবারে সন্তান পাপুল রাজনীতিকে সমাজ সেবার অংশ হিসাবে নিয়েছেন। টাকা কামাইয়ের মেশিন হিসাবে রাজনীতিকে বেছে নেন নি। এটা পাপুলের ভোটাররাও মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন। শতভাগ ভোটারের আস্থায় এসেছেন পাপুল। ব্যক্তিগতভাবে পাপুলের সততা সন্দেহাতীত প্রশংসিত। ভোটাররাও অবলীলায় বিশ্বাস করেছেন পাপুল তাদেরকে দিতে এসেছেন, নিতে আসেন নি।
পঞ্চমত: খুলনা- ১ আসনে ভোটের বাজারে পাপুলের পারিবারিক শক্তিশালী পজিশন একটা ফ্যাক্টর। দাকোপ- বটিয়াঘাটা মিলে পাপুলের কয়েকশত আত্মীয় স্বজন আছেন। এমনকি খুলনা শহরেও অসংখ্য পরিবার পাপুলের আত্মীয়। এরা প্রত্যেকেই পারিবারিক ভাবে প্রভাবশালী। সবাই উচ্চ শিক্ষিত। ভোটের রাজনীতিতে পাপুলের জন্য তার বিপুল পরিমাণে আত্মীয় স্বজনরা বড় ধরনের ভুমিকা রাখবে।
ভোটাররা বলছেন, এমন নেতার অপেক্ষায় তারা ছিলেন। যার পরে ভরসা করা যায়। আস্থা আনা যায়। পাপুলের গুড ইমেজে ভোটাররা প্রচন্ড খুশি। পাপুলের নেতৃত্বে অবহেলিত দাকোপ- বটিয়াঘাটার উন্নয়নে আমুল পরিবর্তন আনতে চায় তারা।
সূত্রমতে, পাপুল নিজেও হোম ওয়ার্ক শুরু করেছেন। জমি-ঘের দখলকে পাপুল নুন্যতম প্রশ্রয় দিচ্ছেন না। মাদকেও জিরো টলারেন্স। কোন অনৈতিক কাজে কেউ জড়ালে দল থেকে তাকে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। দাকোপ- বটিয়াঘাটার উন্নয়নে কি কি করা যায়, সেটা নিয়ে পাপুল ছক আঁকছেন।
পাপুল তার ভোটারদের বলেছেন, এলাকার উন্নয়নে তিনি জীবনের সর্বোচ্চ শ্রম- মেধা- অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাবেন। অবহেলিত দাকোপ- বটিয়াঘাটাকে তিনি স্বনির্ভরতা এনে দেবেন। উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে দুই উপজেলাকে গড়ে তুলবেন। মানুষকে স্বচ্ছল করে তুলতে যা যা প্রয়োজন, সেটা তিনি করবেন। যোগাযোগ ব্যবস্থায় তিনি আমুল পরিবর্তন আনার জন্য ভুমিকা রাখবেন। মাছ- শাকসবজি ও তরমুজকে লাভজনক রপ্তানিমুখী শিল্প হিসাবে গড়ে তুলবেন।