
অনলাইন ডেস্কঃ
এক যুগ আগে, সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের বার্তা নিয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার। সেবার ঢাকায় উষ্ণ আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার আশ্বাস মিললেও সময়ের ব্যবধানে সেই উষ্ণতা অনেকটাই ফিকে হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় নিয়মিত কূটনৈতিক যোগাযোগও।
তবে দীর্ঘ এই শীতলতা কাটিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে ফের প্রাণ ফেরানোর আভাস মিলেছে সাম্প্রতিক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে। মিশরের কায়রোতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ডি-এইট সম্মেলনের ফাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতে জমে ওঠে আলোচনা, ঘুরতে শুরু করে সর্ম্পকের চাকা।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবেই প্রায় দেড় দশকের ব্যবধানের পর ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে প্রস্তুতিও।
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ জানান, “১৫ বছর আগে যেখান থেকে সম্পর্ক থেমে গিয়েছিল, আমরা সেখান থেকেই নতুন করে শুরু করতে চাই।”
এদিকে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, “পূর্ববর্তী সরকারের সময় অনেকটা অযথাভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করা হয়েছে। তবে দুই দেশের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট অস্বীকার না করেও সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।”
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৭ এপ্রিল ঢাকায় বসবেন দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিবরা। পাশাপাশি, চলতি মাসের শেষ দিকে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের কথাও রয়েছে।
সব ঠিক থাকলে আগামী ১৭ এপ্রিল বসবেন দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিবরা। আর চলতি মাসের শেষের দিকে পাক উপ প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরের কথা আছে।