
অনলাইন ডেস্কঃ
ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে ছেড়ে আসা বরিশাল এক্সপ্রেসের একটি বাস প্রথমে ধাক্কা দেয় মাইক্রোবাসে। তখন তেমন কিছু হয়নি। এর মিনিট দুই পরে বাসটির সঙ্গে কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষ হয়। উড়ে যায় বাসের ছাদ। তখন বাসের মধ্যে অন্তত ৬০ জন যাত্রী। তাঁদের বেশ কয়েকজন আহতও হন। তবু না থামিয়ে সেই ছাদবিহীন বাস পাঁচ কিলোমিটার নিয়ে যান বেপরোয়া চালক। একপর্যায়ে জনরোষে পড়ে ভয়ংকর এই বাসযাত্রা থামিয়ে চালক পালিয়ে যান।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার সমষপুরে কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়। পরে লৌহজংয়ের কুমারভোগ এলাকায় পথ রোধ করে বাসটি থামান এলাকাবাসী।
বাসযাত্রী আহমেদ আলী বলেন, ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় বরিশাল এক্সপ্রেসের বাসটি ছেড়ে আসে। বরিশালের উদ্দেশে ছাড়ার ঘণ্টাখানেক পর ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে উঠলে প্রথমে একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে বাসটির ধাক্কা লাগে। তখন তেমন কিছু হয়নি। এর মিনিট দুই পরে একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। তখন বাসের ছাদ উড়ে যায়। এতে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন। তার পরও চালক বাসটি থামাননি। আতঙ্কে বাসের ভেতরে থাকা যাত্রীরা কান্নাকাটি, চিৎকার করছিলেন। ওই অবস্থায় বাসচালক সেখান থেকে আরও পাঁচ কিলোমিটার পথ চালিয়ে যান।
আহমেদ আলী আরও বলেন, বেপরোয়া চালককে কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে ছাদখোলা অবস্থায় দেখে জনরোষে পড়ে চালক বাসটি থামাতে বাধ্য হন। কিন্তু তিনি বাস থামিয়েই সেখান থেকে সটকে পড়েন। বাসে অন্তত ৬০ জন যাত্রী ছিল। আল্লাহর রহমতে আমরা প্রাণে বেঁচে যাই।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, বরিশাল এক্সপ্রেস নামের একটি যাত্রীবাহী বাস শ্রীনগরের সমষপুরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে হলে বাসের ছাদ উড়ে যায়। এ সময় কয়েকজন যাত্রী আহত হন। যাত্রীদের চিৎকারেও বাস থামাননি চালক। ছাদবিহীন বাস চালিয়ে পদ্মা সেতুতে না উঠে অভ্যন্তরীণ সড়কে ঢুকে যান। যাত্রীদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন লৌহজংয়ের কুমারভোগ এলাকার ছিদ্দিকীয়া মাদ্রাসার সামনে পথ রোধ করে বাসটি থামান।
পদ্মা সেতুর উত্তর থানার ওসি জাকির হোসেন বলেন, স্থানীয় বাসিন্দারা বাসটি জব্দ করলেও চালক পালিয়ে গেছেন। শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুরুতর আহত একজনকে চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।