
অনলাইন ডেস্কঃ
আওয়ামী লীগকে গণহত্যাকারী দল হিসেবে উল্লেখ করে বিচার নিশ্চিত ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপের দাবি জানিয়ে আসছিল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সংগঠনটির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে ১০টা থেকে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা। ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি ফ্যাসিস্ট ও খুনী আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে টালবাহানা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে না। আসামীদের জামিন দিয়ে দেয়া হচ্ছে। অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের রাষ্ট্রপতিকে চোখের সামনে পালিয়ে যেতে দেয়া হয়েছে। বিচার প্রশ্নে সরকারের প্রতি আমাদের অনাস্থার যায়গা তৈরি হইছে।
তিনি আরও বলেন, জুলাইয়ে আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল খুনীদের বিচার এবং মুজিববাদীরা বাংলার মাটিতে আর কখনো রাজনীতি করতে পারবে না। আজ রাতেই ফয়সালা হবে আওয়ামী লীগের বিষয়ে।
আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন বাতিল ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না আসা পর্যন্ত আমরা রাজপথ থেকে উঠবো না।
সবাই চলে আসুন। জুলাইয়ে সকল শক্তি, সকল শহীদ পরিবার ও আহতদের আহ্বান জানাই রাজপথে নেমে আসুন। বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।
অপর এক ফেসবুক পোস্টে সারজিস আলম বলেন, হাসনাতের সঙ্গে যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচীতে যোগ দিন। নয় মাসে সোজা আঙ্গুলে কাজ হয়নি। এখন সময় আঙ্গুল বাঁকা করার।
এদিকে হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসুবকে পোস্ট দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাস ভবনের সাবনে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি তার পোস্টে লিখেন, ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না পাওয়া পর্যন্ত আজ রাত ১০টা থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলবে। যার এজেন্ডায় গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট বয়ান নাই, তার সঙ্গে আমরা নাই।’
এর আগে একই দিন ফেসবুকে দেওয়া আরেকটি পোস্টে হাসনাত অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠনের সুযোগ করে দিতেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিচারের নামে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে।
এনসিপির অন্যতম শীর্ষ এ নেতা সেই পোস্টে লেখেন ‘শুধু এই মাসেই ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ও হাইকমিশন বাংলাদেশের সরকারি বেসরকারি ও সামরিক পর্যায়ে অন্তত তেইশটা মিটিং করেছে। লিখে রাখেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠনের সুযোগ করে দিতেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিচারের নামে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। একটা পর্যায় গিয়ে বলা হবে, এক সময়ের জনসমর্থিত রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা আমাদের কাজ নয়।’