
অনলাইন ডেস্কঃ
পেহেলগামে হামলার পর থেকেই পাক-ভারত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) তীব্র গোলাগুলিতে জড়ায় দু’দেশ। পাকিস্তানে ভারতের বিমান হামলার পর থেকে সীমান্তে গোলাবর্ষণের মাত্রা আরও তীব্র হয়েছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (৮ মে) পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাদের গোলাবর্ষণে এক নবজাতকসহ প্রাণ হারিয়েছে পাঁচজন।
শুক্রবার (৯ মে) বিবিসির খবরে বলা হয়, পাকিস্তান-শাসিত আজাদ কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বেশ কয়েকটি জেলায় গোলাবর্ষণ অব্যাহত ছিল। এই হামলায় এক নবজাতকসহ পাঁচজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে মঙ্গলবার ভারতীয় বিমান হামলায় ৩১ জন পাকিস্তানি নাগরিক নিহত হয়েছিল। বৃহস্পতিবার নিহতদের মিলিয়ে পাকিস্তানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩৬ জনে।
ইসলামাবাদ জানিয়েছে, মসজিদ থেকে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প পর্যন্ত মোট ছয়টি পাকিস্তানি স্থান লক্ষ্যবস্তু করে মঙ্গলবার মধ্যরাতে হামলা চালায় ভারত। পাঞ্জাবের আহমেদপুর পূর্ব, মুরিদকে, শিয়ালকোট ও শক্করগড় এবং আজাদ কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদ ও কোটলিতে বিনা উসকানিতে ভারত হামলা চালালে শিশুসহ কমপক্ষে ৩১ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত এবং ৫৭ জন আহত হন।
প্রতিশোধ হিসেবে, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী পাঁচটি ভারতীয় বিমান বাহিনীর (আইএএফ) যুদ্ধবিমান ও সাতটি ড্রোন ভূপাতিত করে। নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর এবং বেশ কয়েকটি চেকপোস্ট ধ্বংসেরও দাবি করে ইসলামাবাদ।
এছাড়া নিয়ন্ত্ররেখায় লাগাতার গোলা নিক্ষেপ করে পাকিস্তান। এতে ভারতে অন্তত ১৬ জন নিহত হয় বলে দাবি করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এ সময় আহত হয় আরও প্রায় ৫৯ জন ভারতীয় নাগরিক।