
অনলাইন ডেস্কঃ
জেলা প্রশাসনের আম পাড়ার ক্যালেন্ডার সূচির নির্দেশনা উপেক্ষা করেই সাতক্ষীরার বাজারে উঠেছে হিমসাগর আম। কৃষকরা বলছেন, প্রশাসনের আম সংগ্রহের নির্দেশনা ২০ মে’র আগেই গাছে আম পরিপক্ব হয়ে ঝরে পড়ছে, সেজন্য বাধ্য হয়ে বাজারে আম তুলছেন তারা। তবে চাহিদানুযায়ী দাম না পাওয়ারও অভিযোগ করেছেন তারা।
বুধবার (১৪ মে) শহরের সুলতানপুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, হিমসাগর আমে বাজার সয়লাব। প্রতি মণ হিমসাগর আম বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ থেকে ২২০০ টাকায়।
তবে এতে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা। জানান, এই আম কয়েকদিন আগে বাজারে তুলতে পারলে ৩২০০ থেকে ৩৫০০ টাকায় প্রতি মণ বিক্রি হতো।
চাষি-ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রশাসনের ভুল সিদ্ধান্তে চাষি ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যশোর জেলার বাগআচড়া থানার বেলতলায় বাজারে প্রকাশ্যে হিমসাগর আম বিক্রি হচ্ছে। অথচ প্রশাসন আমাদের বাধা দিচ্ছে।
সুলতানপুর কাঁচাবাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক রজব আলী জানান, গাছে এখন পরিপক্ব হিমসাগর আম ঝরে পড়ছে, অথচ প্রশাসন আম বাজারজাত করতে দিচ্ছে না। চাষিরা নিরুপায় হয়ে হিমসাগর আম বাজারে তুলেছেন। এখন যদি প্রশাসন এসে আম নষ্ট করে দেয়, তাহলে আমাদের স্পষ্ট ঘোষণা—আমরা আর আম বিক্রি করব না। সাতক্ষীরার বাজার থেকে দেশের কোথাও আম যাবে না।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের খামারবাড়ির উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, বাজারে হিমসাগর আম উঠেছে—আমরা তা জানি। আম পাকলে সংগ্রহ করা যাবে না, এমন নয়। আমাদের কাছ থেকে প্রত্যয়ন নিয়ে গাছ থেকে আম সংগ্রহ করতে পারবেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা। ২০ মে থেকে সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, বাস্তবতা দেখতে হবে। আমরা আজই হিমসাগর আম সংগ্রহের তারিখ পরিবর্তন করব।