
অনলাইন ডেস্কঃ
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাধারণ মানুষের সরকারি চিকিৎসার আস্থার জায়গা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। খুলনার গণমাধ্যমকর্মীরা প্রতিনিয়ত এ হাসপাতালের নানাবিধ সংবাদ সংগ্রহ ও প্রকাশের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। কিন্তু বিভিন্ন সময় হাসপাতালটিতে গণমাধ্যমকর্মীরা সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে সেখানকার চিকিৎসক ও কর্মচারীদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন। যাহা স্বাধীন সাংবাদিকতার চরম অন্তরায় ও দুঃখজনক। সোমবার (২৬ মে) দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডাঃ মোঃ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের বক্তব্য নিতে গিয়ে খুলনা প্রতিদিনের সম্পাদক সোহাগ দেওয়ান ও তার সহকর্মী রিপোর্টার মাসুদ রানা লাঞ্ছিত হয়েছেন। এসময় উক্ত চিকিৎসক ও তার কর্মচারীরা সাংবাদিকের ক্যামেরা কেড়ে নিয়েছেন, মাইক্রোফোন ভাঙচুর করেছেন যাহা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। ইতিমধ্যে উক্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনার ভিডিও বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার এ ধরনের আচরণে ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খুলনার পত্রিকা মালিকদের সংগঠন ‘খুলনা সংবাদপত্র পরিষদ’ এর নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার (২৭ মে) এক বিবৃতিতে সৃষ্ট ঘটনার তদন্তপূর্বক দোষি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতারা হলেন, সভাপতি মোস্তফা সরোয়ার (দৈনিক প্রবর্তন), সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিলটন (দৈনিক খুলনাঞ্চল), কোষাধ্যক্ষ মোঃ তরিকুল ইসলাম (দৈনিক সময়ের খবর), মোহাম্মদ আলী সনি (দৈনিক পূর্বাঞ্চল), আসিফ কবির (দৈনিক জন্মভূমি), আশরাফ উল হক (দৈনিক প্রবাহ), এস এম সাহিদ হোসেন (দৈনিক দক্ষিনাঞ্চল প্রতিদিন), দৈনিক অনির্বাণ সম্পাদক মাহবুবা আহমেদ (দৈনিক অণির্বাণ), এস এম নজরুল ইসলাম (দৈনিক আজকের তথ্য), আতিয়ার পারভেজ (দৈনিক আমার একুশ), ডানিয়েল সুজিত বোস (দৈনিক ভয়েস অব টাইগার), সুমন আহমেদ (দৈনিক খুলনা টাইমস), রুকসানা পারভীন (দৈনিক কালান্তর), খান মাহবুব হোসেন (দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন), শেখ তৌহিদুল ইসলাম তুহিন (দৈনিক তথ্য)।