
অনলাইন ডেস্কঃ
আরাফার ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দিয়েছেন মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদ। বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩ টা থেকে শুরু হয় হজের খুতবা।
লাখ লাখ হাজির উদ্দেশে হজের খুতবায় তিনি বলেন, হে মানুষ, আল্লাহ ও তার রাসুল (সাঃ)-এর আনুগত্য করো, কোরআনে বলা হয়েছে যে অন্যায় করবে আল্লাহ তাকে শাস্তি দেবেন।
তিনি বলেন, যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করবে সে এমন জায়গা থেকে রিজিক পাবে যেখান থেকে সে কল্পনাও করতে পারবে না।
খুতবায় তিনি বলেন, তাকওয়া মানুষকে সফলতা ও মুক্তি দেয়, তাকওয়া অবলম্বনকারীরা কিয়ামতের দিন দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্ত থাকবে। সে তাকওয়া অবলম্বন করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে এমন জায়গা থেকে রিজিক দেবেন যেখান থেকে সে কল্পনাও করতে পারবে না। যে তাকওয়া অবলম্বন করবে আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে তাকে প্রতিদান দেবেন।
ইসলামের বিধান মোতাবেক, ১০ জিলহজ মিনায় প্রত্যাবর্তনের পর হাজিদের পর্যায়ক্রমে চারটি কাজ সম্পন্ন করতে হয়। শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, আল্লাহর উদ্দেশে পশু কুরবানি, মাথা মুণ্ডন করা এবং তাওয়াফে জিয়ারত। এরপর ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান করে প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে প্রতীকী পাথর নিক্ষেপ করবেন হাজিরা। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ি তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
এ বছর সারাবিশ্বের ১৫ লাখে বেশি হাজি হজের মূল কার্যক্রম পালন করতে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হয়েছেন। এ বছর আরবি ছাড়াও আরো ৩৩টি ভাষায় হজের খুতবার অনুবাদ সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। ভাষাগুলো হলো, আরবি, উর্দু, ইংরেজি, ফরাসি, ইন্দোনেশিয়ান, ফার্সি, হাউসা, চাইনিজ, রাশিয়ান, বাংলা, তুর্কি, মালয় (বাহাসা মেলায়ু), স্প্যানিশ, পর্তুগিজ, ইতালীয়, জার্মান, ফিলিপিনো, আমহারিক (ইথিওপিয়া), বসনিয়ান, হিন্দি, ডাচ, থাই, মালায়লাম, সোয়াহিলি, পশতু, তামিল, আজারবাইজানীয়, সুইডিশ, উজবেক, আলবেনিয়ান, ফুলানি (ফুলা), সোমালি, রোহিঙ্গা ও ইওরুবা।
এ বছর ষষ্ঠবারের মতো বাংলা ভাষায় হজের খুতবা অনুবাদ করা হচ্ছে। খুতবার বাংলা অনুবাদ উপস্থাপন করবেন ড. মুহাম্মদ খলীলুর রহমান। তিনি ছাড়াও অনুবাদ কার্যক্রমে আরো রয়েছেন আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান, মুবিনুর রহমান ও নাজমুস সাকিব। তাঁরা সবাই মক্কার উম্মুল কুরা ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন।