
অনলাইন ডেস্কঃ
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন বলেছেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের নতুন প্রস্তাবে রয়েছে—৪০ শতাংশের কম ভোট পড়লে ওইসব আসন ও কেন্দ্রে পুনরায় ভোট হবে। এপ্রিল গরমের মাস হওয়ায় দেশের মানুষ ফসল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। নির্বাচন হলে স্বাভাবিকভাবেই ভোটার উপস্থিতি কম হবে। এভাবে ৪০ শতাংশের কম ভোট দেখাতে পারলে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থেকে যাবে। দেশে এক-এগারোর নতুন করে অ্যাকটিভ করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। নতুন করে ভিন্ন কৌশলে এক-এগারোর বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র চলছে।
বুধবার (১১ জুন) সকালে ঝিনাইদহ শহরের ফ্যামিলি জোন অডিটোরিয়ামে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ খাঁন বলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে বলছি, আপনার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন। ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশে নির্বাচন হতে হবে। কয়েকজন উপদেষ্টার কথামতো দেশ চালালে জনগণ মেনে নেবে না। রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মতামতের ভিত্তিতেই দেশ পরিচালনা করতে হবে।
এপ্রিল মাসে নির্বাচনের সম্ভাব্যতা নিয়ে সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, তিনটি দল সংলাপে বলেছিল, তারা রমজানের আগে অথবা এপ্রিলে নির্বাচন চায়। কিন্তু বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদসহ অধিকাংশ দলই ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার অধিকাংশ দলগুলোর মতামতকে প্রাধান্য না দিয়ে মাত্র তিনটি দলের আকাঙ্ক্ষার পুরণে এপ্রিলে নির্বাচনের সম্ভাব্য দিন ঘোষণা করেছে।
করিডর ও বন্দর প্রসঙ্গে রাশেদ খাঁন বলেন, করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর আমাদের কনসার্ন ম্যাটার। মানবিক করিডরের নামে দেশের সার্বভৌমত্ব বিলীন হয়, এমন কিছু জনগণ মেনে নেবে না। বুকের রক্ত দিয়ে ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিদায় ঘটিয়েছে। প্রয়োজনে করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দরের ইজারাও জনগণ ঠেকাবে। ইজারার নামে বিদেশি কোনো এজেন্সির হাতে আমাদের চট্টগ্রাম বন্দর তুলে দেওয়া যাবে না। এই হঠকারী সিদ্ধান্তগুলো দেশের মানুষ মানবে না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে সরকার এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে উপদেষ্টারা আমলে না নিয়ে এপ্রিলে নির্বাচনের সম্ভাব্য দিন ঘোষণা করেছে। কিন্তু এই অন্তর্বর্তী সরকারকে মনে রাখতে হবে, তারা গণঅভ্যুত্থানের সরকার। এই সরকার ব্যর্থ হলে, জাতি তাদের ক্ষমা করবে না। আমরা এই সরকারের সমালোচনা করেছি, উপদেষ্টাদের কাজের সমালোচনা করেছি। আমরা একটি বারের জন্যও প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চাইনি। কিন্তু দেশবাসী প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের নাটক দেখেছে।