
অনলাইন ডেস্কঃ
লন্ডনে অন্তর্বরতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক পছন্দ হয়নি বলেই একটি দল নারাজ হয়েছেন বলে মন্তব্য করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও খুলনা-৩ আসনের ধানের শীষের কান্ডারী আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল বলেছেন, বিশেষ একটি দল দেশে নির্বাচন চায় না। নির্বাচন হলে তাদের গুরুত্ব কমে যাবে, তাই তারা নারাজ। নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সরকারের সঙ্গে যখন দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল, তখন ড. ইউনূসের আমন্ত্রণে তারেক রহমান বৈঠক করেন। যে বৈঠক ঐতিহাসিক ঘটনা। ১৬ বছর আমরা মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করেছি। বিএনপি জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন করতে চায়। আমাদের একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হবে। একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নেতা যখন দেউলিয়া হয়ে যায়, জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তখন তাকে স্বৈরাচারী হতে হয়, জুলুমবাজ হতে হয়। আর এটা হচ্ছে ফ্যাসিবাদ। ফ্যাসিবাদ কারো গায়ে লেখা থাকে না। এই ধরনের চরিত্র যাদের থাকে তারা জনগণকে বিশ্বাস করে না। আর ৫ আগস্টে ফ্যাসিবাদী পতন ঘটেছে। কিন্তু তাদের দোসররা নানা জায়গায় আছে।
রবিবার (২২ জুন) বিকাল ৪টায় খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানার যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির অন্তর্গত ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সকল শ্রেণীর পেশা মানুষের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। যোগিপোল তেলিগাতী কাজীপাড়া দারুল উলুম মসজিদের সামনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন বিগত মাফিয়া সরকার খুলনাকে সন্ত্রাসের নগরীতে পরিনত করেছিলেন। শিক্ষার্থীদের হাতে বই-খাতা-কলমের পরিবর্তে অস্ত্র ও মাদক দিয়েছেন। খুলনা নগরী এখনো মাদকে ভাসছে, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নিত্যদিনের ঘটনা। বিএনপি চায় নগরবাসি শান্তি থাকবে। বিএনপি চায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনায় মুখোরিত থাকবে। খুলনাবাসি কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দেখতে চায় না। লুটপাটের মাধ্যমে পতিত হাসিনা সরকার শিল্প নগরী খুলনাকে মৃত নগরীতে পরিনত করেছে। জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে আবারো শিল্পাঞ্চল শ্রমিকদের পদচারণায় মুখোরিত হবে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রদত্ত ৩১ দফা ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দিতে হবে। গত ১৬ বছরে যত গুম-খুন হয়েছে হাসিনার নির্দেশে হয়েছে। হাসিনার নির্দেশে আয়না ঘরে আটকে নির্যাতন করা হয়েছে। প্রত্যেকটা ঘটনার বিচার এ দেশের মাটিতে হতে হবে। শেখ পরিবার পালালো কীভাবে? প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, প্রশাসনকে এর জবাব দিতে হবে। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে এদেশ থেকে চলে গেল কীভাবে? সরকার ডেভিল গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করছে। কিন্তু ১০ মাসেও খুলনার কোন শীর্ষ ডেভিল গ্রেফতার হয়নি। তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ধানের শীর্ষের পক্ষে কাজ করার আহবান জানান।
যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপি’র সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা, বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম তুহিন, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য সাবেরা নাজমুল মুন্নী, খুলনা মহানগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, জাসাস কেন্দ্রীয় নেতা নাসির উদ্দিন, খুলনা মহানগর বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহবায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, খানজান আলী থানা বিএনপি’র সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, থানা সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা সোহাগ হোসেন, যোগীপোল ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মামুন শেখ, ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মীর শওকত হোসেন হিট্টু প্রমূখ। মতবিনিময় শেষে অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করেন প্রধান অতিথি।
এদিকে অন্য একটি সভায় বকুল বলেন গুপ্ত একটি রাজনৈতিক দল বাড়ি বাড়ি যেয়ে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে। খুলনা দৌলতপুর থানার বিএনপি পরিবার মহিলা সমর্থক গোষ্ঠীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২২ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় ৫নং ওয়ার্ডে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল। প্রধান বক্তা ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপি’র সভাপতি শফিকুল আলম মনা, খুলনা মহানগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, জাসাস কেন্দ্রীয় নেতা কণ্ঠশিল্পী জামাল উদ্দিন নাসির, খুলনা মহানগর বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহবায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, দৌলতপুর থানা বিএনপি’র সভাপতি এম মুর্শিদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক শেখ ইমাম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইকবল হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আব্দুর রাজ্জাক। ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মোঃ খবির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি বলেন, একটি গুপ্ত রাজনৈতিক দল বাড়ি বাড়ি যেয়ে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে। আল্লাহ নির্ধারণ করবে কে জাহান্নামে কে জান্নাতে যাবে। কিন্তু কোন ব্যক্তি দিতে পারে না জান্নাতের টিকিট। এ সব বেদয়াতে কাজ সবাই মিলে রুখে দিতে হবে। মিথ্যা কথা বলে সমাজকে ধোকা দেওয়া যাবে না। এই গুপ্ত সংগঠনটি জনতাকে ধোকা দিয়েছে। সবাইকে এর থেকে সাবধান থাকতে হবে। জনগণ এখন বিএনপি’র দিকে তাকিয়ে আছে। জনগণ এখন বিএনপিকে ভোট দিতে চায়। দলের মধ্যে ঘাপতি মেড়ে থাকা কিছু মহল অপপ্রচার করে যাচ্ছে। সামনে কঠিন সময় আসবে সেই সময় একসাথে হয়ে লড়াই করতে হবে।