
অনলাইন ডেস্কঃ
যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার জবাবে এবার কাতার ও ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। খবর আল-জাজিরার।
কাতারের রাজধানী দোহার আকাশে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। আল-উদেইদ ঘাঁটির দিকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ইরাকেও একটি মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপেরও খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার দিনগত রাতে ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র যদি সরাসরি হামলা চালায়, তবে তার জবাব কঠিন হবে।
এখন পর্যন্ত মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে ইরান হামলার কথা স্বীকার করেছে।
এদিকে কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল-উদেইদ ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দোহা।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেছেন, আল-উদেইদ ঘাঁটিতে আইআরজিসি’র হামলা ‘কাতারের সার্বভৌমত্ব, আকাশসীমা এবং জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কাতার রাষ্ট্রে, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে এই স্পষ্ট আগ্রাসনের সরাসরি জবাব দেওয়ার অধিকার রাখি।’
মুখপাত্র আরও বলেন, কাতারের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আক্রমণটি ব্যর্থ করে দিয়েছে এবং ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের সফলভাবে মোকাবেলা করেছে।
অন্যদিকে কাতারের হুঁশিয়ারির পর ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল জানিয়েছে, আল উদেইদ নামে মার্কিন যে ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে সেটি কাতারের আবাসিক এলাকা থেকে দূরে।
তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, “এই হামলা বন্ধু ও ভ্রাতৃপ্রতিম কাতারের জন্য কোনো হুমকি নয়। তাদের নাগরিকদের জন্যও এটি কোনো হুমকি নয়। ইরান কাতারের সঙ্গে উষ্ণ ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।”
এদিকে কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার আগে কাতারকে আগাম বার্তা দিয়েছিল ইরান। এই তথ্য জানিয়েছেন বিষয়টির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক সূত্র।
ওই সূত্র জানান, এই সমন্বয়ের উদ্দেশ্য ছিল প্রাণহানি কমানো এবং ভবিষ্যৎ উত্তেজনা নিরসনের জন্য একটি ‘বিকল্প পথ’ খোলা রাখা। সিএনএন’কে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ইরানি হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মার্কিন সেনা হতাহত হওয়ার খবর তাদের কাছে নেই।