
অনলাইন ডেস্কঃ
১১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা বারের বিগত তিন কমিটির ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। রোববার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় অর্থ আত্মসাতের পৃথক ৩টি মামলায় বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা আসামিরা হলেন, ২০২৪-২৫ মেয়াদের সভাপতি আব্দুর রহমান হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার শাহাদাত শাওন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কালাম মো. আক্তার হোসেন ও ট্রেজারার ওমর ফারুক, ২০২৩-২৪ মেয়াদের সভাপতি মিজানুর রহমান মামুন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের, সহ-সাধারণ সম্পাদক শ্রী প্রাণনাথ ও ট্রেজারার বিবি ফাতেমা মুন্নি।
এছাড়াও ঢাকা বারের ২০২২-২৩ মেয়াদের সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজুর রহমান মন্টু ও ট্রেজারার নুর হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
এদিন ঢাকা আইনজীবী সমিতির পক্ষে বর্তমান কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মইনুল হোসেন অপু, ট্রেজারার আব্দুর রশীদ মোল্লা ও জহিরুল হাসান মুকুল বাদী হয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা তিনটি দায়ের করেন। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে সন্ধ্যায় এ আদেশ দেন।
এরমধ্যে একটি মামলায় ২০২৪-২৫ মেয়াদের সভাপতি আব্দুর রহমান হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার শাহাদাত শাওন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কালাম মো. আক্তার হোসেন ও ট্রেজারার ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে আইনজীবী সমিতির ১১ লক্ষ ২০ হাজার ৫১১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
এদিকে অপর মামলায় ২০২৩-২৪ মেয়াদের সভাপতি মিজানুর রহমান মামুন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের, সহ-সাধারণ সম্পাদক শ্রী প্রাণনাথ ও ট্রেজারার বিবি ফাতেমা মুন্নির বিরুদ্ধে ৮ কোটি ৩০ লক্ষ ৪১ হাজার ২৯০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্যদিকে তৃতীয় মামলাটিতে ঢাকা বারের ২০২২-২৩ মেয়াদের সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজুর রহমান মন্টু ও ট্রেজারার নুর হোসেনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৪৬ লক্ষ ৩৫ হাজার ৪০১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।