
অনলাইন ডেস্কঃ
ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সরিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। নিজেদের ওয়েবসাইট থেকে বহুজাতিক কোম্পানি নোভার্টিস বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রোফাইল সরিয়ে ফেলেছে যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর (আরজেএসসি)। ফলে কোম্পানিটির কোনো তথ্য আরজেএসসির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে না। বেআইনিভাবে কোম্পানিটির তথ্য আরজেএসসির ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে কী কারণে কোম্পানিটির প্রোফাইল সরানো হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আরজেএসসির নিবন্ধক।
সাধারণত কোনো কোম্পানির উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে যদি মামলা থাকে বা কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকে অথবা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত চলমান থাকে, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির প্রোফাইল লক করা হয়। তেমন কোনো কিছু হলে ওই কোম্পানির নাম লিখে সার্চ দিলে শুধু নাম ওয়েবসাইটে দেখা যায়। বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। কিন্তু নোভার্টিসের নাম লিখে সার্চ দিলে নামও পাওয়া যাচ্ছে না। তার অর্থ হলো নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে কোম্পানিটির সব তথ্য ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে রেখেছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এরশাদুল বারী বলেন, ‘কোম্পানির বিরুদ্ধে যদি আইনি কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকে, তাহলে এভাবে তাদের তথ্য ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে রাখার কোন সুযোগ নেই। এটি সম্পূর্ণ বেআইনি পদক্ষেপ।’
প্রোফাইল ‘লকড’ থাকলে বা ওয়েবসাইটে তথ্য না থাকলে শেয়ার হস্তান্তরের প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা যায় না। বিষয়টিকে কোম্পানিটির অধিকার হরণ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে কোম্পানির পোর্টাল খুলে দেওয়ার বিষয়ে নোভার্টিসের পক্ষ থেকে গত ২৫ জুন ও ২৬ জুন দুই দফা চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে আরজেএসসি সূত্রে জানা গেছে।
ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নোভার্টিসের বিরুদ্ধে কোনো আইনি কার্যক্রম চলমান নেই। কাজেই কোম্পানিটির প্রোফাইল পোর্টাল যেন ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়, সে বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও পোর্টালটি খুলে দেওয়া হয়নি।
কী কারণে নোভার্টিসের প্রফাইল ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরজেএসসির নিবন্ধক একেএম নূরুন্নবী কবির বৃহস্পতিবার রাত গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কী কারণে প্রোফাইলটা বন্ধ আছে, তা এখন বলতে পারছি না। অফিসে গিয়ে দেখে বলতে হবে।’