
অনলাইন ডেস্কঃ
পিরোজপুর-১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী মাসুদ সাঈদী বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে দাবিটি জামায়াতের পক্ষ থেকে ১৯৮৪ সালে উত্থাপন করা হয়েছিল, সাত বছর পরে হলেও দেশের জনগণ এবং রাজনৈতিক নেতারা জামায়াত উত্থাপিত এ দাবির যৌক্তিকতা বুঝতে পেরেছিল। তেমনি পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচনের যে দাবি জামায়াতের পক্ষ থেকে করা হয়েছে একটু পরে হলেও দেশের জনগণ এবং রাজনৈতিক নেতারা এর কল্যাণময় ও যৌক্তিক দিকগুলো বুঝতে পারবে।
পিরোজপুর পৌর জামায়াতের আয়োজনে জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে কর্মীদের সঙ্গে শুক্রবার সকাল ১০টায় মতবিনিময় সভা, শহরে জনসংযোগ এবং পিরোজপুরের ভাড়ানিখাল খনন কাজ পরিদর্শনকালে তিনি এসব বলেন।
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন বা পিআর পদ্ধতি হলো এমন একটি নির্বাচন ব্যবস্থা যেখানে একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে যে পরিমাণ ভোট পায়, জাতীয় সংসদে তারা সেই ভোটের আনুপাতিক হারে আসন লাভ করে। এ পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য হলো জাতীয় সংসদে জনগণের বিভিন্ন অংশের মতামত ও আকাঙক্ষাকে সঠিকভাবে প্রতিফলিত করা। যাতে প্রতিটি ভোটের গুরুত্ব থাকে এবং কোনো ভোটই নষ্ট না হয়।
মাসুদ সাঈদী বলেন, পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে সুষ্ঠু, অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত, মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ, টাকার অপব্যবহার এবং নির্বাচনকে ঘিরে যে দুর্নীতিগুলো হয় পিআর পদ্ধতির মাধ্যমেই তা রোধ করা সম্ভব। আশা করি সব রাজনৈতিক দলের সম্মানিত নেতারা ও দেশের জনগণ তা বুঝতে পারবেন।
‘জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের চেতনা ছিল বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠন করতে হলে রাষ্ট্রীয় সব ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে। গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য ও দেশবাসীর দাবিই হচ্ছে আগে- গণহত্যার বিচার ও তারপর নির্বাচন। তাই ইন্টেরিম সরকারকে খুনি হাসিনাসহ তাদের দোসরদের বিচার দৃশ্যমান করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় ও যৌক্তিক সংস্কার দৃশ্যমান করতে হবে।
রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার না করে যেনতেনভাবে একটি নির্বাচন দিলে আবারও ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটতে পারে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, এ দেশের মানুষ আর কোনো ফ্যাসিবাদকে মেনে নেবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জহিরুল হক, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আব্দুর রাজ্জাক শেখ, পৌর আমির ইসহাক আলী খান, পৌর সেক্রেটারি আল আমিন শেখ, পৌর সহকারী সেক্রেটারি আনসারুজ্জামান হালিম, পিরোজপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড আমির মোদাচ্ছের হোসাইন, সেক্রেটারি আব্দুস সাত্তার, পিরোজপুর বাজার সভাপতি কবিট হোসেনসহ পৌরসভা ও ওয়ার্ডের অন্যান্য নেতারা।