
অনলাইন ডেস্কঃ
থেকে পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরবর্তীতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। বিভিন্ন কার্য সম্পাদন করার আগে ময়নাতদন্তের সময় পার হয়ে যায়। তাই রাতে মরদেহটি মর্গে রাখতে হবে বলে সেখানকার কর্মরত ডোম আব্দুর রহিম জানায়। লাশটি সংরক্ষণের কথা বললে হিমাগার নষ্ট বলে তাকে জানানো হয়। পরবর্তীতে মরদেহটি সংরক্ষণের জন্য তিনি রনির কাছে দু’হাজার টাকা দাবি করেন। অবশেষে তাকে দু’হাজার টাকা দিয়ে মরদেহটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
খুলনা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের ডোম সুশীল এবং সজল কুমার বলেন, ফ্রিজ ২ টা। তাতে ৯ টা বক্স রয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে দু’টা ফ্রিজই অকার্যকর হয়ে পড়ে রয়েছে। সেখানে কোন লাশ রাখা যায়না বা ঠান্ডা হয়না। মৃতের পরিবার ব্যবস্থা করলে তা সংরক্ষণ করা হয় তা না হলে গরমের সময়ে ব্যাপক অসুবিধা হয়। ফ্রিজ থাকলে ভাল হত বলে তারা জানান।
জানতে চাইলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাসিন আলী ফারাজী বলেন, এটা স্পর্শকাতর বিষয়। হিমাগারের ফ্রিজ ২০১৭ সাল থেকে নষ্ট এটা ঠিক নয়। একটি ফ্রিজের মধ্যে ছয়টি ট্রে থাকে। সেগুলো খুব উন্নতমানের। যখন ফ্রিজগুলো ইনষ্টল করা হয়েছিল তখন থেকে তা চালু ছিল। একটা ট্রে নষ্ট হওয়ার কারণে আমরা ৪টি ট্রে দিয়ে ফ্রিজগুলো চালিয়েছি। সর্বশেষে দু’টি দিয়ে আমরা কার্যক্রম চালিয়েছি। ফ্রিজগুলো যে পাওয়ার শোষণ করে তা একটি ট্রে চালানো সম্ভব নয়। তাছাড়া এক একটি মেরামত করতে ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ফ্রিজগুলো মেরামত করেছি। গত একমাস আগে নিমুতে মিটিং হয়েছে। সেখানে ফ্রিজগুলো মেরামতের বিষয়ে কথা হয়েছে। তারা আন্তরিকভাবে কথাগুলো শুনেছে এবং নোট নিয়েছে। নতুন কোন মেশিন দেওয়া যায় কি না সেটা তারা নতুন অর্থ বছরে সিদ্ধান্ত নিবে।
তিনি বলেন, একটি মরদেহ রাখা ব্যয়-সাধ্য ব্যাপার। প্রতিদিন রাখার জন্য এক হাজার টাকা গুণতে হয়। সবচেয়ে বেশী সমস্যা হয় বেওয়ারিশ লাশের ক্ষেত্রে। সব মেশিনগুলো নষ্ট হয়ে থাকার কারণে লাশ বরফ দিয়ে সংরক্ষণ করতে হয়।