
অনলাইন ডেস্কঃ
মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশিরা আইএসের মতাদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সেলে অর্থ পাঠাত বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার পুলিশ প্রধান (আইজিপি) মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল।
শুক্রবার (৪ জুলাই) সদর দপ্তর বুকিত আমানে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
মালয়েশিয়ার পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে পরিচালিত ধারাবাহিক অভিযানে ৩৬ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। তারা মূলত কারখানা, নির্মাণ ও সেবা খাতে কর্মরত ছিলেন।
মোহাম্মদ খালিদ বলেন, আটককৃতদের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী সংগঠনের অংশ বলে অভিযোগ আনা হয়েছে, এবং ১৫ জনকে নির্বাসিত করা হবে। এছাড়া আরও ১৬ জনকে তদন্তের জন্য রাখা হয়েছে পুলিশ হেফাজতে।
নেটওয়ার্কে মোট ১০০ থেকে ১৫০ জন জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে বলে জানান দেশটির পুলিশ প্রধান। তিনি বলেন, যাদের সম্পৃক্ততা কম, তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। আর যাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আছে, তাদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিল্প, খামার ও নির্মাণ খাতে শ্রমিক ঘাটতি পূরণে মালয়েশিয়া ব্যাপকভাবে বিদেশি শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল। প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিক দেশটিতে পাড়ি জমান।
গোয়েন্দা তথ্যের বরাতে পুলিশ প্রধান খালিদ ইসমাইল বলেছেন, বাংলাদেশিদের ওই চক্রটি অন্য বাংলাদেশি শ্রমিকদের মধ্যে থেকে সদস্য বাড়াচ্ছিলেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে ‘উগ্রবাদী মতাদর্শ’ ছড়াচ্ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, এই চক্র আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার সার্ভিস ও ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে সিরিয়া ও বাংলাদেশে ‘আইএসের জন্য’ অর্থ পাঠাত। মালয়েশিয়া পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের কাউন্টার টেরোরিজম ডিভিশন অর্থ সংগ্রহের প্রমাণ পেয়েছে। তবে তারা ঠিক কত অর্থ সংগ্রহ করেছে সেটি তদন্তাধীন বলে জানান তিনি।
তবে তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, প্রত্যেক সদস্যকে বছরে ৫০০ রিংগিত ফি দিতে হয়। তবে অনুদানের পরিমাণ নির্ভর করে সদস্যদের ওপর।
এদিকে, বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুসলিম অধ্যুষিত মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে ২০১৬ সালে আইএসের এক হামলার পর থেকে শত শত ‘সন্দেহভাজন জঙ্গিকে’ আটক করেছে দেশটির পুলিশ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আঞ্চলিক অভিযান জোরদার হওয়ার পর এ ধরনের গ্রেপ্তারের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে।