
অনলাইন ডেস্কঃ
তুলা আমদানিতে আরোপিত ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বস্ত্রকলের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)।
শনিবার (৫ জুলাই) রাজধানীর গুলশান ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটির নেতারা।
বিটিএমএ বলেছে, অগ্রিম আয়কর আরোপ, রাজস্ব সংগ্রহের জন্য সুবিধাজনক মনে হলেও সিদ্ধান্তটি আত্মঘাতী। এতে বস্ত্র খাত বড় ধরনের সংকটে পড়বে। চলতি মূলধন সংকুচিত হতে হতে একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যাবে অনেক বস্ত্রকল। সোমবারের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রত্যাশা করছে বিটিএমএ নেতারা।
দেশি বস্ত্রকলে উৎপাদিত তুলার সুতা ও কৃত্রিম আঁশ এবং অন্যান্য আঁশের সংমিশ্রণে তৈরি সুতার ওপর উৎপাদন পর্যায়ে কেজিপ্রতি সুনির্দিষ্ট কর ৫ টাকা অব্যাহতি প্রদানের দাবিও তুলেছেন বিটিএমএ এর নেতারা।
তারা বলছেন, তুলা আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আরোপ করায় বস্ত্রকলগুলোর উৎপাদন ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বাড়বে। আমদানি করা তুলা খালাসে প্রতিবার ২ শতাংশ হারে এআইটি পরিশোধ করতে হলে বছর শেষে করভার বাড়বে। এতে চলতি মূলধন ধারাবাহিকভাবে সংকুচিত হবে। চক্রবৃদ্ধি হারে এআইটি পরিশোধ করতে হলে তিন বছরের মধ্যে চলতি মূলধন শূন্য হয়ে যাবে। ফলে দেশি বস্ত্রকলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বেড়ে যাবে আমদানি। পণ্য রফতানিতে মূল্য সংযোজনের হার কমবে।
বিটিএমএ’র সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেছেন, এই খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলার। দেশের শীর্ষ রফতানি আয়ের খাত তৈরি পোশাক শিল্পের সুতা ও কাপড়ের ৭০ শতাংশের জোগানদাতা হচ্ছে বস্ত্র খাত। ফলে বস্ত্র শিল্পের যেকোনো সমস্যা তৈরি হলে তা পোশাক শিল্পেও এর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।