
অনলাইন ডেস্কঃ
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশে আমদানি কিছুটা কমলেও বেড়েছে রপ্তানি ও রাজস্ব আয়। ভারতের বাজারে দেশীয় পণ্যের কদর থাকলেও স্থল পথে অনেক পণ্য রপ্তানি হচ্ছে না। এরপরও ভোমরা স্থল বন্দরের রুট দিয়ে রপ্তানি বাণিজ্য চালু রয়েছে। প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০টি দেশীয় রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাক ভারতে প্রবেশ করছে। সদ্য শেষ হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বন্দরের রাজস্ব আয় হয়েছে ৯৪৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ৯২ কোটি ২৪ লাখ টাকা বেশি।
ভোমরা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, সদ্য বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বন্দর দিয়ে ৫৯ হাজার ৬৯৩টি গাড়িতে ২০ লাখ ৮২ হাজার ৭২২ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে। এসব পণ্যের বাজারমূল্য প্রায় ৮ হাজার ৭৫ কোটি টাকা। এতে রাজস্ব আয় হয়েছে ৯৭৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এছাড়া বিগত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ৬৩ হাজার ৯০২টি গাড়িতে ২৩ লাখ ৫৫ হাজার ৬২ টন পণ্য। সেই সময়ে রাজস্ব আয় হয়েছিল ৯০৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। ফলে আমদানির পরিমাণ কমলেও রাজস্ব প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
অন্যদিকে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ২২ হাজার ৯৩৭টি গাড়িতে। এতে পণ্যের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৮৬ হাজার ১৩০ মেট্রিক টন। যার বাজারমূল্য ছিল ৩ হাজার ৪০৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এর আগের বছর, অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ২৪ হাজার ৫৮০টি গাড়িতে। পণ্য ছিল ২ লাখ ৭৪ হাজার ১১০ টন, বাজারমূল্য ৩ হাজার ৯০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। সেই হিসেবে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ।
ভোমরা কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা জানান, দেশের শীর্ষ রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা কোন বাধা বিঘ্ন ছাড়াই ভোমরা বন্দর দিয়ে রপ্তানি বাণিজ্য পরিচালনা করছে। কোন পক্ষ কর্তৃক চাঁদাবাজি, তোলাবাজি আর একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার প্রবণতা না থাকায় রপ্তানিকারকরা এ বন্দর ব্যবহার করতে আগ্রহী। রপ্তানি বান্ধব বন্দর হিসাবে ভোমরার গুরুত্ব রয়েছে অধিক।
ভোমরা কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা রাসেল আহমেদ বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে রপ্তানি বাণিজ্যের বিকল্প নেই। আমরা দেশীয় পণ্য রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছি। রপ্তানি পণ্য দ্রুত ছাড়করণে কাস্টমস প্রশাসন সর্বক্ষণ প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। রপ্তানি বাণিজ্যকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়।
ভোমরা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মো. রুহুল আমিন জানান, বন্দরের আমদানি কমলেও রপ্তানি ও রাজস্ব আয়ের ইতিবাচক প্রবণতা সরকারকে দিয়েছে স্বস্তি। ভোমরা একটি সম্ভাবনাময় স্থলবন্দর। রাজস্ব, আমদানি ও রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি এই বন্দরের সক্ষমতারই প্রমাণ। আশা করছি, আগামীতে এই ধারা আরও এগিয়ে যাবে।