
অনলাইন ডেস্কঃ
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ১২শ’ ৬৫ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ। যোগান দিচ্ছে রাশিয়ার এক্সিম ব্যাংক। কথা ছিল, আসল পরিশোধ শুরু হবে ২০২৭ সাল থেকে। কিন্তু সে ভাবনা দুই বছর পেছাতে চায় সরকার।
ফলে, কিস্তির হিসাব এখনও শুরু হয়নি। তবে একবার শুরু হলে রূপপুরের পেছনে সুদ ও আসলসহ বছরে খরচ হবে ৫০ কোটি ডলার।
কিন্তু তার আগেই বিদেশি ঋণের চাপে জর্জরিত বাংলাদেশ। বিদায়ী অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যয় হয়েছে ৩৭৮ কোটি ডলার। অথচ এর আগের অর্থবছরের পুরো সময়ে বিদেশি ঋণের আসল ও সুদ বাবদ দিতে হয়েছিল ৩৩৪ কোটি ডলার।
এদিকে, কমেছে বিদেশি অর্থছাড় আর প্রতিশ্রুতিও। গেল অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মেয়াদে বিদেশি ঋণ ছাড় কমেছে ১৪২ কোটি ডলার। একই সময়ে ৭৯২ কোটি থেকে প্রতিশ্রুতি নেমেছে ৫৪৮ কোটি ডলারে।
পরিকল্পনা কমিশন বলছে, আগের সরকারের ইচ্ছে মতো প্রকল্প ঋণ নেয়ার দায় এখন সামলাতে হচ্ছে। আর্থিক ব্যবস্থাপনা ঠিক না হলে বিপদ আরও বাড়বে।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. মনজুর হোসেন বলেন, এক্সচেঞ্জ রেট বা মনিটারি পলিসির যে ইন্টারেস্ট রেট ম্যানেজমেন্ট এটা খুব প্রুডেন্ট হওয়া দরকার এবং সেটা থিউরেটিক্যালি হোক, এম্পোরিক্যালি হোক সেটা যেন একটা টেকশই ম্যানেজমেন্ট হয় সেই ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
চলতি অর্থবছরে সরকারের বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ আরও ১ বিলিয়ন ডলার বাড়বে। মূল কারণ সুদ। পরে বড় প্রকল্পের গ্রেস পিরিয়ড শেষ হয়ে গেলে সুদ ও আসল দুটিই বাড়বে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রিজার্ভের পরিমাণ বাড়লেও তা দিয়ে এই চাপ সামলানো কঠিন।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেছেন, ঋণের কারণে দুর্দশায় পড়ার সম্ভাবনা কী রকম বাংলাদেশের? আগের অ্যাসেসমেন্টে ছিল লো; এবার দেখবেন, ওটাকে একটু ডাউনগ্রেড করে বলা হচ্ছে মডারেট। তার মানে ঋণের ঝুঁকিটা আগের চেয়ে বেড়েছে।
বহুপক্ষীয় দাতাসংস্থা হিসেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংককে (এডিবি) সবচেয়ে বেশি ঋণ শোধ করেছে বাংলাদেশ। মুদ্রার হিসাবে যার পরিমাণ প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা।