
অনলাইন ডেস্কঃ
কোনো ভুল সিদ্ধান্তের কারণে যেন ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের সুযোগ না পায়, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (১৯ জুলাই) জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অবদান ও শহীদদের স্মরণে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত স্মরণসভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, হাজারো শহীদের কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র গঠনের পূর্ব শর্তই হলো জনগণের বাংলাদেশে, জনগণের সরাসরি ভোটে, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ এবং জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে দেশে এমন একটি গণতান্ত্রিক, নিরাপদ, নির্বাচনী ব্যবস্থা থাকা জরুরি যেখানে প্রতিটা ভোটার নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারবে।
তিনি জানান, জুলাই আন্দোলন শুরু থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে সংগঠিত হলেও গত বছরের ১৬ জুলাইয়ের পর তা আর কোটা সংস্কার আন্দোলনে সীমাবদ্ধ ছিল না। রংপুরে শহীদ আবু সাঈদ, চট্টগ্রামে ওয়াসীমসহ দেশের বিভিন্নস্থানে একইদিনে কমপক্ষে ছয়জন শহীদ হওয়ার পর দেশের মাফিয়া সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে উঠেছিল। সারাদেশে স্ফুলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়া আন্দোলন দমন করতে তৎকালীন মাফিয়া সরকার বেপরোয়া হত্যা, নির্মম দমন পীড়ন চালাতে শুরু করেছিল।
তারেক রহমান বলেন, সেই মাফিয়া সরকারের দমন, নিপীড়ন উপেক্ষা করে ১৮ জুলাই থেকে দলমত নির্বিশেষে বিশেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা যেভাবে রাজপথে সাহসের সঙ্গে রক্ত দিয়েছে সেদিন থেকে একজন রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস চলে আসে যে এখন এই সরকারের পতন কেবল সময়ের অপেক্ষা।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, সেটি উপলব্ধী এবং বিশ্বাস থেকে ছাত্র জনতার রক্তক্ষয়ী আন্দোলনকে ফ্যাসিস্ট পতনের এক দফা আন্দোলনে পরিণত করে ফ্যাসিস্টের পতন নিশ্চিত করতে বিএনপিসহ দেশের সকল গণতান্ত্রিক দলগুলো পরিকল্পনা এবং কৌশল অবলম্বন করেছিল। তবে কোটা সংস্কারের পথ ধরে ফ্যাসিস্ট পতনের আন্দোলন যাতে দেশে বা বিদেশে যেন কোনো নির্দিষ্ট দলের আন্দোলন হিসেবে পরিচিতি না পায় এটি নিশ্চিত রাখা ছিল রাজনৈতিক কৌশলের অংশ।