
অনলাইন ডেস্কঃ
কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় দেয়া সারের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। বিগত সময়ে একটি অসাধু সিন্ডিকেট কৃষিখাতকে গ্রাস করেছিল। যারা এ খাতে দুর্নীতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আজ সোমবার (২১ জুলাই) কৃষি মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে সার ক্রয়ের সকল প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মৌসুমে লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ১৫ লাখ মেট্রিক টন অধিক ধান উৎপাদন হয়েছে। দেশে খাদ্য সংকটের কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, এ বছর দেশে শাক সবজি, পিঁয়াজ ও আলু উৎপাদন ভালো হয়েছে। আলু অধিক মাত্রায় উৎপাদন হওয়ায় কৃষকরা আলুর দাম পাচ্ছে না। সে কারণে সরকার ওএমএস কার্যক্রমে আলু অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কৃষি উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরে দেশের পাঁচটি জেলায় ফসলের উৎপাদনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। সারের মূল্য পরিশোধ করতে সরকারকে হিমশিম খেতে হয়েছে। তবে সে সংকট সরকার কাটিয়ে উঠেছে। আগামী নভেম্বর পর্যন্ত সারের পর্যাপ্ত মজুদ আছে।
তিনি আরও বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে সার আমদানির জন্য সরকার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার সাথে সার ক্রয়ের বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। আপাতত সারের কোনো ঘাটতি নেই বলে তিনি জানান।
উপদেষ্টা আরও বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজার, নোয়াখালী, ফেনীসহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় শাকসবজির বীজ প্রদান করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের ব্যাপক প্রস্তৃতি রয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে গত অর্থবছরে প্রায় ৩৩ লাখ বিভিন্ন জাতের গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানান কৃষি উপদেষ্টা।