
অনলাইন ডেস্কঃ
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৬০ জনের মতো দগ্ধ হয়েছে এবং নিহত ৬ জন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই শিক্ষার্থী।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ছাড়াও উত্তরার বেশ কয়েকটি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডাক্তার শাওন বিন রহমান বলেন উত্তরায় একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে নারী শিশুসহ অন্তত ৬০ জন জরুরি বিভাগে এসেছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন। এখনো বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় রোগী আমাদের এখানে আসছে।
মাইলস্টোন কলেজের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) বুলবুল আহমেদ বলেন, ঘটনার সময় আমাদের প্রথম থেকে সপ্তম শ্রেণির ক্লাস চলছিল। বিকট শব্দে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়ে, শিক্ষকরা দ্রুত তাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে তৎপর হন। আমরা সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার কার্যক্রমে সহায়তা করি। তবে হতাহতের সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য তিনি জানাতে পারেননি।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৬০ জন দগ্ধ হয়েছেন এবং নিহত ৬। এদের মধ্যে বেশির ভাগই শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই এটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। বিমানটির পাইলট ছিলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর। বিমানে তিনি একাই ছিলেন।