
অনলাইন ডেস্কঃ
আগামী ২৭ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে আগামী বছরের হজের প্রাথমিক নিবন্ধন। যারা ২০২৬ সালে হজ পালন করতে চান তারা প্রাথমিকভাবে ৪ লাখ টাকা জমা দিয়ে হজের প্রাথমিক নিবন্ধন করতে পারবেন।
সোমবার (২১ জুলাই) সকালে সচিবালয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২৬ সালের হজের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এতে সভাপতিত্ব করেন।
সৌদি সরকারের রোডম্যাপ অনুসারে এ বছরের ১২ অক্টোবরের মধ্যে হজের চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ সময়ের মধ্যেই হজযাত্রীদের প্রাথমিক নিবন্ধন ও পরে হজ প্যাকেজ মূল্যের অবশিষ্ট টাকা জমা দিয়ে চূড়ান্ত নিবন্ধন করতে হবে। সৌদি পর্বের ব্যয়ের হিসাব ও বিমানভাড়া নির্ধারণ সাপেক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে ২০২৬ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীরা ই হজ সিস্টেম ( www.hajj.gov.bd), লাব্বাইক মোবাইল অ্যাপ, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয়, জেলা ও বায়তুল মোকাররম অফিস এবং আশকোনা হজ অফিস হতে প্রাথমিক ও চূড়ান্ত নিবন্ধন করতে পারবে। তবে বেসরকারি মাধ্যমে হজ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের অনুমোদিত হজ এজেন্সির মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে।
এ সভায় সৌদি সরকার ঘোষিত ২০২৬ সালের হজ কার্যক্রমের রোডম্যাপসহ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশনা উপস্থাপন করা হয়।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় আগামী হজ মৌসুমে মক্কা ও মদিনায় বাড়িভাড়ার পূর্বে হজ ফ্লাইট শিডিউল চূড়ান্ত করা এবং হজযাত্রীদের কোরবানির টাকা নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মে পরিশোধের নির্দেশনা দিয়েছে বলে সভায় জানানো হয়। এ ছাড়া মেডিকেল ফিটনেস ব্যতীত হজে গমন না করার জন্যও তাদের পক্ষ হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রোডম্যাপের নির্ধারিত সময়সূচির মধ্যে কোনো কাজ সম্পন্ন না হলে হজ পালন অনিশ্চিত হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে সৌদি এ মন্ত্রণালয়।
সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে এ সভায় হাবের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। এ সংগঠনের পক্ষ হতে বাড়িভাড়া চুক্তি স্বাক্ষরের আগেই হজ ফ্লাইট শিডিউল অনুমোদন, কোরবানি ও ক্যাটারিং সার্ভিস বাধ্যতামূলক না করা, হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বৃদ্ধি, হজ প্যাকেজ ৩৫-৪০ দিনে কমিয়ে আনাসহ বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। সংগঠনটির পক্ষে সভাপতি ও মহাসচিব প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরেন।