
বিশেষ প্রতিনিধি:
মেয়র- কাউন্সিলরদের শুন্য পদের পাশাপাশি প্রধান মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সহ খুলনা সিটি কর্পোরেশনে এক ডজনের বেশি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পদ শূন্য রয়েছে। মেয়র এবং কাউন্সিলরদের পদ রাজনৈতিক কারনে শুন্য রয়েছে।
মেয়রের শুন্য পদে বিভাগীয় কমিশনার অন্যদিকে কাউন্সিলরদের শুন্য পদে সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা সন্ধ্যার পরে বা অফিস টাইম বা ছুটির পরে দুই- আড়াই- তিন ঘন্টা বা তারও বেশি সময় কাউন্সিলর অফিসে বসে ভারপ্রাপ্ত কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করে জনসেবা করে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক বিভিন্ন শুন্য পদে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে কাজ চলছে। সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ এতো গুলো পদ একযোগে শুন্য থাকার ঘটনা নজিরবিহীন। এর বাইরেও অন্তত তিন শতাধিক পদ এই মুহুর্তে শুন্য রয়েছে। ফলে কাজ কর্মে ব্যাঘাত ঘটছে, স্টাফদের পরে কাজের চাপ বাড়ছে। সুত্র বলছে দেশের অন্যান্য সিটি করপোরেশনসমুহে ২০১৩ বা আরও পরের অর্গানোগ্রাম চললেও খুলনা সিটি করপোরেশন ১৯৮৭ সালের অর্গানোগ্রামমতে চলছে।
জানা গেছে, গত সপ্তাহে, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) চট্টগ্রামের একটি প্রজেক্টে বদলি হয়ে চলে গেছেন। খুব শীঘ্রি এই পদে এমন কেউ আসবেন, এমন সম্ভবনা ক্ষীণ। সিটি করপোরেশনের বর্তমান সচিব ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সিইও”র দায়িত্ব পালন করছেন। ভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার ভারপ্রাপ্ত সিইও হিসাবে দায়িত্ব নিতে পারেব, এমন একটি প্রক্রিয়া চলছে।
প্রাপ্ত সুত্র বলছে, প্রধান প্রকৌশলির চেয়ার দীর্ঘদিন শূন্য রয়েছে। এই পদের চলতি দায়িত্বে সুপারেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার প্রকৌশলি মশিউজ্জামান খান রয়েছেন। একইভাবে প্রকৌশল দফতরে নির্বাহী প্রকৌশলী- ১, ২, ৩ তিনটা পদই শুন্য রয়েছে। নির্বাহী প্রকৌশলী- ২ এর চলতি দায়িত্বে রয়েছেন মাসুদ করিম। তিনি মুলত উপ সহকারী প্রকৌশলি। তিনি নির্বাহী প্রকৌশলী- ২ এর চলতি দায়িত্বে রয়েছেন।
একইভাবে চীফ প্লানার, জনসংযোগ কর্মকর্তা, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক), উপ সহকারী প্রকৌশলির দুটি পদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ), উপ সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ), রাজস্ব কর্মকর্তা, প্রধান লাইসেন্স কর্মকর্তা, স্টেট অফিসার, একাউন্স অফিসার, প্রধান সহকারি, উচ্চমান সহকারী, মেডিকেল অফিসার, চিফ মেডিকেল অফিসারের পদ শুন্য রয়েছে।
এর বাইরেই নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সিকিউরিটির পদ ৯৮ টা হলেও এই পদে রয়েছেন মাত্র ৫৭ জন। এতো বড় ধরনের শুন্যতায় সিটি করপোরেশনের নিরাপত্তা রীতিমতো হুমকির সম্মুখীন। গোরস্থান, হাসপাতাল, পেট্রোল পাম্পের মতো স্পর্শকাতর স্থাপনাসমহে দিন রাত ২৪ ঘন্টায় মাত্র একজন সিকিউরিটি গার্ড তার দায়িত্ব পালন করেন। বিষয়টি রীতিমতো ঝুকিপূর্ণ।