
অনলাইন ডেস্কঃ
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শাহবাগ মোড়ে সমাবেশ করছে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রাদল।
রোববার (৩ আগস্ট) দুপুর ২টায় কোরআন তেলোয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। সমাবেশ শুরুর ঘণ্টা খানেক আগেই শাহবাগ মোড় এবং এর আশপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট ও জেলা শাখাগুলো ব্যানার, ফেস্টুট ও প্ল্যাকার্ড ছাড়াই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সমাবেশ স্থলে সরাসরি উপস্থিত আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুলসহ দলের শীর্ষ নেতারা।
সমাবেশের বক্তব্য চারদিকে ছড়িয়ে দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অসংখ্য মাইক লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েয়েন্ট জায়ান্ট মনিটর ও ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন করা হয়েছে।
সমাবেশে আশা নেতা-কর্মী, সমর্থকদের জন্য প্রচুর পরিমাণ খাবার এবং পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিকেল টিম। এ কাজ ঠিক মতো সম্পন্ন করতে গঠন করা হয়েছে ৯০টি সাংগঠনিক টিম। এসব টিম নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
মূল সড়কের মাঝখানে সমাবেশ মঞ্চ প্রস্তুত করায় সমাবেশ শুরুর মাত্র ঘণ্টাখানেক আগে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে পৌঁছেছেন। সাধারণত এ ধরনের বড় সমাবেশে সকাল থেকেই সংগঠনটির নেতা-কর্মীর সমাবেশস্থলে হাজির হন।
এদিকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের জনদুর্ভোগের জন্য আগাম দুঃখ প্রকাশ করেছে ছাত্রদল। সংগঠনের দফতর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলমের সই করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত জুন মাসে আমরা আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণায় শুরুতে ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করি; কিন্তু পরে জাতীয় নাগরিক পার্টিরনেতারা ৩ আগস্ট শহিদ মিনারে তাদের সমাবেশ করার বিষয়ে আমাদের নেতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে একাধিকবার যোগাযোগ ও অনুরোধ করেন। শহিদ মিনারের সমাবেশের বিষয়ে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস থেকে অনুমতিও নিয়েছিলাম। এ দিনে শহিদ মিনারে সমাবেশ করার বিষয়ে আমরাই ছিলাম একমাত্র বৈধ দাবিদার; কিন্তু পরেএকটি উদার, গণতান্ত্রিক, পরমতসহিষ্ণু, সব মত ও পথের সহাবস্থানে বিশ্বাসী ছাত্রসংগঠন হিসেবে আমরা শহিদ মিনারে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে শাহবাগে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ব্যস্ত রাজধানীতে কর্মদিবসে সমাবেশের জনভোগান্তি সম্পর্কে আমরা অবগত। তার পরও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এই গুরুত্বপূর্ণ স্মরণীয় দিনটিতে আমাদের ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির বৃহৎঐক্যের স্বার্থে বৃহত্তম ছাত্রসংগঠন হিসেবে দায়িত্বশীলতা ও উদারতার জায়গা থেকে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করতে হয়েছে। আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা যে কোনো ধরনের জনদুর্ভোগের জন্য অগ্রিম দুঃখ প্রকাশ করছি। প্রত্যাশা করছি, নগরবাসী বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবেন।