
অনলাইন ডেস্কঃ
কোনো হুমকি-ধমকিতে তারা পিছিয়ে যাবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
রোববার (৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণার সমাবেশে তিনি এ হুঁশিয়ারির উচ্চারণ করেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, জুলাই বিপ্লবের এক বছর পেরিয়ে এসেছি। এ এক বছর আমরা শুধু কথা বলে গেছি, এখন সময় কাজের। আমাদের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব দিকনির্দেশনা দেবেন, আমরা তা বাস্তবায়ন করব। প্রয়োজনে জীবন দিতেও প্রস্তুত থাকব।
তিনি বলেন, আমরা জানি এলাকায় এলাকায় এনসিপির কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে, বাধা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু মনে রাখবেন, এখন থেকে রূপসা থেকে পাথরিয়া-এনসিপির কোনো কর্মীর দিকে কেউ চোখ তুলে তাকালেও আমরা রাজনৈতিকভাবে তার জবাব দেব। কোনো হুমকি-ধমকিতে আমরা পিছিয়ে যাব না।
হাসনাত আরও বলেন, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি- ভয় পাবেন না। এনসিপির আন্দোলন আর আদর্শ কেউ থামাতে পারবে না। আমাদের স্বপ্ন ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক একটি রাষ্ট্র। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।
এদিকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি নির্দিষ্ট দল ছাড়া অন্যসব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ রোধ করতে ইসি নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো এবং জুলাই সনদের আলোকে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি তুলব।
নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ‘একটি দলের উর্দি পরা মেরুদণ্ডহীন প্রতিষ্ঠান’ আখ্যা দিয়ে নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, গত ১৫ বছর ধরে দেশের মানুষ সুষ্ঠু ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চাইলে একটি দল ছাড়া অন্যদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনই বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যদি ইসি ভোট নেওয়া ও দেওয়ার সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে এনসিপি নির্বাচনে অংশ নেবে না।
এনসিপির নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় সংশোধনী কাগজপত্র ইসিতে জমা দেওয়া হয়েছে এবং দলটি শাপলা প্রতীক বরাদ্দের আশা করছে। এ ছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমের নিয়মিত অগ্রগতি জানাতে প্রতি ১৫ দিন পরপর অনলাইনে ব্রিফিং আয়োজনের দাবি জানান এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক।