
অনলাইন ডেস্কঃ
১৭ বছরের আন্দোলন সংগ্রামে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। দেশের মানুষ তার বিচার চায়। শুধু আ’লীগ নয়, যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ও যারা সহযোগিতা করেছিলেন, তাদেরও বিচার করতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থান ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ১৬ বছরের প্রচেষ্টা। তাই, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন এখন সরকারের মৌলিক দায়িত্ব। এ দেশের মানুষ ভোটারাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিয়েছেন। ঠিক এক বছর আগে ২০২৪ সালের এই দিনে ফ্যাসিস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়েছে। রাহুমুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। জনগণকে মুক্তি দিতে হলে নির্বাচিত সরকার দরকার। নির্বাচিত সরকার ছাড়া জনগণের মুক্তি কারও পক্ষে সম্ভব নয়। এই দেশ জনগণের কথায় চলবে।
বুধবার বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর কেডিএ এভিনিউস্থ তেঁতুলতলা মোড়ে সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপি’র কার্যালয় চত্বরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা বিএনপি আয়োজিত বিজয় মিছিলের আগে সমাবেশের সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন, খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও খুলনা মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
তিনি আরও বলেন, হাজারো শহিদের রক্তস্নাত রাজপথে ফ্যাসিবাদ বিরোধী অভূতপূর্ব জাতীয় ঐক্য গড়ে ওঠেছে। বাংলাদেশে আর কখনোই ফ্যাসিবাদ কায়েম হবে না, কাউকে গণতন্ত্র হত্যা করার সুযোগ দেওয়া হবে না, বাংলাদেশকে আর কখনোই তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে দেওয়া হবে না।
সমাবেশ শেষে বিকেল বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল নজরুল ইসলাম মঞ্জু’র নেতৃত্বে নগরীর তেঁতুলতলা মোড় থেকে ময়লাপোতা, সাতরাস্তা, রয়েল চত্বর, ফেরীঘাট হয়ে ডাকবাংলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের ছবি সম্বলিত প্লাকার্ড, শহিদ জিয়া, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিকেল আকৃতি ছবি এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে মিছিল শুরু হয়। সমাবেশের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং আন্দোলনে নিহত ও মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন মীর মোহাম্মদ বাবু। অনুষ্ঠানে আন্দোলনে আহত ও মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় দোয়া করা হয়।
অধ্যাপক অরিফুজ্জামান অপু ও আসাদুজ্জামান মুরাদের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল¬াহ খান সাচ্চু, এড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মেহেদী হাসান দিপু, নিজাম উর রহমান লালু, এড. গোলাম মওলা, কামরান হাসান, শরিফুল ইসলাম বাবু, সুলতান মাহমুদ সুমন, ইকবাল হোসেন, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক ও আলমগীর হোসেন আলম।
সমাবেশ ও বিজয় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, ইকবাল হোসেন খোকন, আনোয়ার হোসেন, মহিবুজ্জামান কচি, ইউসুফ হারুন মজনু, মজিবর রহমান ফয়েজ, গিয়াস উদ্দিন বনি, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, কাজী শফিকুল ইসলাম শফি, রফিকুল ইসলাম শুকুর, শামসুজ্জামান চঞ্চল, শেখ জামিরুল ইসলাম জামিল, ইশহাক তালুকদার, শমসের আলী মিন্টু, হাসান মেহেদী রিজভী, আবু সালেক, আকরাম হোসেন খোকন, সরদার রবিউল ইসলাম রবি, তরিকুলাহ খান, কাজী মাহবুবুল হক, মোলা মুজিবর রহমান, ওমর ফারুক, রবিউল ইসলাম রবি, মেজবাহ উদ্দিন মিজু, মহিউদ্দিন টারজান, বাচ্চু মীর, এড. আবুল হোসেন হাওলাদার, মেহেদী হাসান সোহাগ, আব্দুল জব্বার জাহিদ কামাল টিটো, আসলাম হোসেন, নাসির খান, এড. মুজিবর রহমান, খায়রুল ইসলাম লাল, আব্দুল মতিন, হুমায়ুন কবির বাবলু, এড. আব্দুস সবুর, শামীম খান, মোস্তফা কামাল, জামাল মোড়ল, রিয়াজুর রহমান, আলমগীর ব্যাপারী, ইফতেখান নবীন, নুরুল ইসলাম লিটন, মিজানুজ্জামান তাজ, নাদি মোড়ল, শামীম আশরাফ, এড. ইমাম হোসেন, আল আমিন তালুকদার প্রিন্স, এড. এবিএম ওমর আলী, শরিফুল ইসলাম সাগর, মাজেদা খাতুন, মাসুদ খান বাদল, রাজিবুল আলম বাপ্পি, এরশাদ হোসেন, মোল্লা সোলাইমান হোসেন, মাহবুব হোসেন, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, সাখাওয়াত হোসেন, মাহমুদ হাসান মুন্না, মনিরুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মনির, মুন্সি আব্দুর রব, মুশফিকুর রহমান অভি, খান শহিদুল ইসলাম, শাকিল আহমেদ, সালাউদ্দিন সান্নু, আসাদ সানা, সেলিম বড় মিয়া, ফিরোজ আহমেদ, মারুফুর রহমান, তরিকুল আলম, মোস্তফা জামান মিন্টু, এমরান হোসেন, মাসুদ রেজা, নূরে আব্দুল্লাহ, গোলাম নবী ডালু, লিটু পাটোয়ারী, আবু তালেব, মিজানুর রহমানসহ থানা, ওয়ার্ড, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী মিছিল সহকারে কর্মসূচিতে যোগ দেন।