
অনলাইন ডেস্কঃ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা ও ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৩৬৫ দিন’ শীর্ষক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১০ আগস্ট) রাজধানীর গুলশান ২-এর লেকশোর হোটেলের লা ভিটা হলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এ আয়োজন করে।
সিপিডির ডিস্টিংগুইশড ফেলো প্রফেসর মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ডক্টর আহসান এইচ. মঞ্জুর এবং কমিউনিস্ট পার্টি বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর এ এস এম আমানুল্লাহ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (BGMEA) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ হাসান খান (বাবু), লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (LFMEAB) প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, ওয়ার্কার রিফর্ম কমিশনের চেয়ার সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আমিন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (BTMA) প্রেসিডেন্ট শওকত আজিজ রাসেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব হেলথ ইকোনমিকসের প্রফেসর ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ, মিডিয়া রিফর্ম কমিশনের সদস্য জিমি আমির এবং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (IUB)-এর ভাইস চ্যান্সেলর ড. এম তামিম।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
বক্তারা বলেন, ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের দর্শন সামনে রেখে দেশের উন্নয়ন ও সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে হবে। তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গত এক বছরের কর্মকাণ্ড, নীতি ও সংস্কার উদ্যোগ, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, শ্রমবাজারের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা, গণমাধ্যম ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করেন।
সংলাপে আলোচ্য বিষয় ছিল আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা, টেলিফোনে আড়িপাতা ও মানবাধিকার, পুলিশে সংস্কার, ব্যাংক খাতের সংস্কার, কর্মসংস্থান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা, শ্বেতপত্র প্রণয়ন, শিক্ষা খাতের সংস্কার, স্বাস্থ্য খাতে সংস্কার, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ, সংবিধানের সংস্কার, দুর্নীতি দমন কমিশনের সংস্কার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং নাগরিক সংগঠনের কাজ সহজীকরণ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদসহ বিভিন্ন সেক্টরের গুনিজন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।
সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে সংলাপের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষ হয়।