
অনলাইন ডেস্কঃ
খুলনা শিশু হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আল-আমিন রাকিবের বিরুদ্ধে জাল সনদ ব্যবহার করে চাকুরি গ্রহন এবং নিজ নামে হাসপাতালের সিট সংরক্ষন করে তা পরবর্তীতে অর্থের বিনিময়ে রোগীদের নিকট সিট বিক্রিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। এদিকে শিশু হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আল-আমিন রাকিবকে পদত্যাগের দাবিতে হাসপাতালের স্টাফরা তদন্তকারি কর্মকর্তাদের সামনে বিক্ষুব্ধ স্টাফরা বিক্ষোভ করেছেন। পরে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন অবিহিত করলেও তাতে কাজ হয়নি। পরে সেনাবিহীনর একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরবর্তীতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা আল-আমিন রাকিব ও সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা শীলা হালদার পদ থেকে পদত্যাগ করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ব্যাপারে খুলনা শিশু হাসপাতাল এর তত্ত্বাবধায়ক ( চলতি দায়িত্ব) ডা: অনুপ কুমার দে এ প্রতিবেদক বলেন, দুর্ণীতি দমন কমিশন ( দুদক) দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালের প্রশানিক কর্মকর্তা আল-আমিন রাকিবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় । সেই প্রক্ষোতি গতকাল রোববার গঠিত তদন্ত কমিটির কর্মকর্তারা হাসপাতালে উপস্থিত হন। তদন্তে কমিটিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা আল-আমিন রাকিব উপস্থিত হলে শিশু হাসপাতালের সকল স্টাফরাা তার পদত্যাগের দাবিতে তদন্ত কমিটির কর্মকর্তাকেসহ রাকিববে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরবর্তীতে রাকিবসহ সহকারি প্রশানিক কর্মকর্তা শীলা হালদার পদত্যাগ পত্র জমা দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তত্ত্বাবধায়ক ( চলতি দায়িত্ব) ডা: অনুপ কুমার দে বলেন, যেহেতু রাকিবের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্তের সে দোষী প্রমানিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে শিশু হাসপাতালের সদ্য পদত্যাগকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তা আল-আমিন রাকিবকে রোববার রাতে তার ব্যবহৃত মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। খুলনা শিশু হাসপাতালের স্টাফরা জানিয়েছেন রাকিব হাসপাতালে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালের স্টাফদের জিম্মি করে ও চাকুরি খেয়ে ফেলার ভয়-ভিতি দেখিতে অনৈতিকভাবে টাকা আদায় করত। এছাড়া তার বিরুদ্ধে হাসপাতালের বিভিন্ন টেন্ডারের অনিয়মেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। গত ২০১০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজানের অনুসারি ছিলো। তার সুপারিশে ভিত্তিতে রাকিবের চাকুরিতে যোগদান করেন। হাসপাতালের যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্ণীতি করে টাকার মেশিন বানিয়ে ফেলেন। সে নগরীর পূর্ববানিয়া খামার লোহারগেট এলাকায় প্রায় ৮০ লাখ টাকারও বেশি একটি দ্বিতলা বাড়ি ক্রয় করেন। এছাড়া অবৈধভাবে টাকা আয় করে বিভিন্ন জায়গায় জমিও কিনেছেন বলে একাধিক সূত্র দাবি করেছেন।
হাসপাতালের সূত্র জানা যায়, গতকাল গঠিত তদন্ত কমিটির মধ্যে সহকারি পরিচালক, পরিচালক ( স্বাস্থ্য) ডা: অপর্না বিশ্বাস, পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম জাহাতাব হোসেন এবং প্রধানসহকারি মাসুম বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে খুলনা মেডিকেল সাব-ডিপো এর সহকারি পরিচালক ডা: মো: রফিকুল ইসলাম গাজী কে তদন্ত কমিটির সভাপতি করে ৫ সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।