
অনলাইন ডেস্কঃ
ভারত-চীনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সম্মতিতে দুই দেশের মধ্যে পুনরায় সরাসরি ফ্লাইট চালু এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়েছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ির নয়াদিল্লি সফরের পর কর্মকর্তারা দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বুধবার (২০ আগস্ট) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, উভয় পক্ষই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চীনের মূল ভূখণ্ড এবং ভারতের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ পুনরায় চালু করতে এবং একটি আপডেটেড বিমান পরিষেবা চুক্তি চূড়ান্ত করতে সম্মত হয়েছে।
তারা উভয় ক্ষেত্রে পর্যটক, ব্যবসা, মিডিয়া এবং অন্যান্য দর্শনার্থীদের ভিসা প্রদানের সুবিধার্থেও সম্মত হয়েছে।
ডোকলাম সংকটের পর দুই দেশের বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছিল এবং কোভিড-১৯ মহামারির কারণে তা বিলম্বিত হয়েছিল। ২০১৭ সালে ভারত ও চীনের মধ্যে সংঘটিত একটি সীমান্ত বিরোধ হলো ডোকলাম সংকট।
এছাড়া উভয় পক্ষই লিপুলেখ পাস, শিপকি লা পাস এবং নাথু লা পাস নামে তিনটি নির্ধারিত বাণিজ্য পয়েন্টের মাধ্যমে সীমান্ত বাণিজ্য পুনরায় খোলার বিষয়েও সম্মত হয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
দুই প্রতিবেশী দেশ সীমান্ত সংক্রান্ত ইস্যুতে কমপক্ষে তিনটি নতুন প্রক্রিয়া স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং উত্তেজনা হ্রাসের জন্য আলোচনা শুরু করার জন্য বিদ্যমান কূটনৈতিক এবং সামরিক চ্যানেল ব্যবহার করবে ভারত-চীন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন নয়াদিল্লিতে তার বাসভবনে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করেন, তখন এই ঘোষণা আসে।
ওয়াংয়ের সাথে সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি এক্স-এ পোস্ট করেছেন, ভারত ও চীনের মধ্যে স্থিতিশীল, অনুমানযোগ্য, গঠনমূলক সম্পর্ক আঞ্চলিক এবং বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।
দীর্ঘদিনের সীমান্ত উত্তেজনা নিরসনে সম্প্রতি দুদিনের দিল্লি সফরে যান চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। চলমান এই আলোচনার ২৪তম দফায় ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে আলোচনায় এসব বিষয় উঠে আসে।
অন্যদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতি অনুসারে, ওয়াং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে বলেছেন যে ভারত ও চীনের মধ্যে স্থিতিশীল ও গঠনমূলক সম্পর্ক বজায় রাখা উভয় দেশের মূল স্বার্থের জন্য। তিনি সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং সীমান্ত আলোচনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ঐক্যমত্যের দিকে কাজ করার পাশাপাশি সংলাপের মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থা তৈরি এবং সহযোগিতা সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।