
অনলাইন ডেস্কঃ
খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা-২ আসণে ধানের শীষে মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে ধ্বংস করতে একটি চক্র নির্বাচন বন্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা নানা অপপ্রচার ও প্রশাসনিক চাপ সৃষ্টি করে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার এই অপচেষ্টা আসলে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র বিরোধী শক্তিরই বহিঃপ্রকাশ। জনগণ জানে, গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে থামিয়ে রাখা যায় না। যতোই ষড়যন্ত্র হোক-বাংলার মানুষ তাদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার থাকবে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) খালিশপুর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা সুস্পষ্টভাবে জানাতে চাই-নির্বাচন হবেই। কোনো অপশক্তির ষড়যন্ত্র গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে রুখতে পারবে না। জনগণের রায়েই দেশ পরিচালিত হবে, কোনো ষড়যন্ত্রকারীর চক্রান্তে নয়। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য একটি বিশেষ গোষ্ঠি দেশে নির্বাচন বন্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। যারা মনে করছে নির্বাচন ঠেকিয়ে দিয়ে ছায়া সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকবে-তাদের সেই দিবাস্বপ্ন কোনোদিন পূর্ণ হবে না। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠন হবেই, কোনো অপশক্তি সেটা ঠেকাতে পারবে না। আজ সময়ের দাবি হলো-সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গণতন্ত্র রক্ষা, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও জনগণের মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্য অপরিহার্য। কোনো ষড়যন্ত্র, কোনো ভয়ভীতি কিংবা মিথ্যা অপপ্রচার ঐক্যবদ্ধ মানুষের শক্তির কাছে টিকতে পারবে না। গণতন্ত্রের লড়াই শুধু কোনো দলের নয়, এটি গোটা জাতির লড়াই। তাই দলমত নির্বিশেষে আমাদের এক কণ্ঠে বলতে হবে-নির্বাচন হবেই, জনগণের অধিকার ফিরিয়েই আনবো।
স্বাধীনতা বিরোধীরা আজও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায়। তারা জানে, জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তারা ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের মাধ্যমে নির্বাচনকে বন্ধ করার চেষ্টা করছে। যেমন ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাকে রুখতে ব্যর্থ হয়েছিল তারা, তেমনি আজও তারা ব্যর্থ হবে। জনগণের ঐক্যই স্বাধীনতা বিরোধীদের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেবে। থানা বিএনপির সভাপতি এড. শেখ মোহাম্মাদ আলী বাবুর সভাপতিত্বে অনুািষ্ঠত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী। থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বিশ্বাসের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সৈয়দ হাসান উল্লাহ, মোঃ জাহিদুল হোসেন, শেখ শাহিনুল ইসলাম পাখি, লিটন খান, কাজি ইকরাম মিন্টু, মোঃ জাহাঙ্গীর শেখ, কাজি শামীম, হায়দার আলী তরফদার, মো: সাইফুল আলম, গাজী সালাউদ্দীন, জাকির হোসনে, এ এম মাসুম , মো: গোলাম মোস্তফা প্রমুখ। সভায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন বিষয় আলোচনা করা হয়।