
অনলাইন ডেস্কঃ
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে কার্যকর একটি সমাধান চায় আপিল বিভাগ যাতে এটি বার বার বিঘ্নিত না হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে চারটি রিভিউ আবেদনের ওপর দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে এই মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে দিয়ে সাময়িক সমাধান দিতে চায় না আপিল বিভাগ। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কার্যকর সমাধান চায় আপিল বিভাগ। যাতে এটি বারবার বিঘ্নিত না হয়। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে এটি যাতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব রাখে, সেটিই করা হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনসহ আরও কয়েকটি আবেদনের ওপর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে রিভিউ করে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে শুনানি এদিন পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
আজকের শুনানিতে প্রথমে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনগুলো ভালো নির্বাচন হয়েছে, জনগণ নির্ভয়ে ভোট দিতে পেরেছেন। কিন্তু আপিল বিভাগ এই ব্যবস্থা বাতিল করলে নির্বাচন ব্যবস্থায় ধস নামে। দিনের ভোট রাতে, ডামি নির্বাচন, বহু সাংসদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবার মতো ঘটনা ঘটে।
এদিকে গতকালের শুনানিতে এ বি এম খায়রুল হকের রায়ের নানা ত্রুটি তুলে ধরেন আইনজীবীরা। তারা বলেন, এই রায়ে আপিল বিভাগের চারজন বিচারপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পক্ষে রায় দিয়ে পরবর্তীতে সবাই প্রধান বিচারপতি হন। কিন্তু একই বেঞ্চে যে তিনজন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার পক্ষে ছিলেন সেই বিচারপতিরা পদোন্নতি বঞ্চিত হন।
২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা) বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল মঞ্জুর করে এ রায় দেয়া হয়। পরে এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছরের অক্টোবরে আবেদন করা হয়।