
অনলাইন ডেস্কঃ
সংবিধান, নির্বাচন পদ্ধতিসহ বিভিন্ন খাতে সংস্কারের প্রস্তাব নিয়ে জুলাই সনদ চূড়ান্ত হওয়ার পথে। কিন্তু এর মধ্যে পিআর পদ্ধতি নিয়ে উত্তপ্ত রাজনীতি। জাতীয় নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে বিএনপি ও সমমনাদল। তারা উচ্চকক্ষে এই পদ্ধতির পক্ষে থাকলেও প্রতিনিধি চান আসনের ভিত্তিতে। অন্যদিকে জামায়াতসহ কয়েকটি ইসলামী দল সংসদের দুই কক্ষেই পিআরের পক্ষে।
এক্ষেত্রে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন মধ্যপন্থা গ্রহন করেছে। কমিশন উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতির প্রস্তাব করলেও নিম্নকক্ষে চায় না।
কমিশনের অন্যতম সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, পিআর ও সংসদের আসনভিত্তিক পদ্ধতি দুই পদ্ধতিরই ভালো-খারাপ দিক আছে। এই বিষয়গুলো বিবেচনা করেই নিম্নকক্ষে বর্তমানে আসনভিত্তিক পদ্ধতির সুপারিশ করা হয়েছে। আর উচ্চপক্ষে পিআর পদ্ধতির সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আংশিক বক্তব্য চালিয়ে আমার সম্মানহানির চেষ্টা করা হয়েছে।
ঐকমত্য কমিশন কেন নিম্নকক্ষে পিআর পদ্ধতি প্রস্তাব করেনি এর বাস্তবতা তুলে ধরেছেন ড. বদিউল আলম মজুমদার।
তিনি বলেন, নিম্নকক্ষে পিআর প্রস্তাব না রাখার ক্ষেত্রে সরকারের স্থিতিশীলতা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। নিম্নকক্ষে আসনভিত্তিক পদ্ধতিতে প্রত্যেক ভোটারদের জন্য একজন সংসদ সদস্য থাকছে। ভোটাররা সংসদ সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারবেন। সুখে-দুখে তাকে পাওয়া যাবে।
এদিকে, নিম্নকক্ষে না চাইলেও সংসদের প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি চায় ঐকমত্য কমিশন। এক্ষেত্রে প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষের ১০০ সদস্যের আসন বন্টনের প্রস্তাব রয়েছে।
বদিউল আলম বলেছেন, উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করি। নিম্নকক্ষে পিআর হলে ভোটের ব্যবধান কম হলেও তা অস্বাভাবিক ফলাফল সৃষ্টি হতে পারে। তাছাড়া, জনগণের মতামতের সঠিক প্রতিফলন হয়েছে কি না সেটা নিয়েও প্রশ্ন আসতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ২০০১ এর নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের মধ্যে ভোটের ব্যবধান ছিল না বললেই চলে। কিন্তু আসনের ব্যবধান বিরাট ছিল। আবার ২০০৮ সালে বিএনপি আর আওয়ামী লীগের ভোটের ব্যবধান ছিল বিরাট। অর্থাৎ একটির সাথে আরেকটি সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
পিআর পদ্ধতির ভালো মন্দ বিবেচনা করে জাতীয় স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে সহযোগিতা করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।