
অনলাইন ডেস্কঃ
সিদ্ধিরগঞ্জে তিতাস গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে আসমা বেগম (৩৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭ জনে।
হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. সুলতান মাহমুদ শিকদার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশু আরাফাত হোসেনের বাবা তানজিল হোসেন তাঞ্জু বলেন, তিতাস গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে আমার স্ত্রী আসমা বেগম এবং আমার কলেজ পড়ুয়া মেয়ের জীবন কেড়ে নিয়েছে। আমার শ্যালিকা সালমা বেগম, ভায়রা হাসান গাজী, তার মেয়ে জান্নাত, ছেলে রাইয়ান গাজী এবং শাশুড়ি তাহেরা বেগমের জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দিয়েছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।
তিনি আরও বলেন, আমার স্ত্রী আসমা বেগমের মরদেহ নিয়ে ময়মনসিংহের ফুলপুরের চকবদন গ্রামে যাওয়া হচ্ছে। মেয়ে তিশার কবরের পাশে আসমাকে দাফন করা হবে।
প্রসঙ্গত, তিতাস গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে পূর্ব পাইনাদির জাকির খন্দকারের টিনশেড বাড়িতে গত শুক্রবার (২২ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই পরিবারের নারী ও শিশুসহ ৯ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এখন সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন দুই পরিবারের দুই সন্তান।
তারা হলেন, হাসানের ১১ বছরের মেয়ে মুনতাহা এবং আসমার ছেলে আরাফত হোসেন। মুনতাহা বিস্ফোরণে হারিয়েছন বাবা, মা, ভাইবোনসহ ৪ জনকে। অপরদিকে ১২ বছরের আরাফাত হোসেন হারিয়েছেন মা ও বড়বোনকে। তবে তার বাবা ঘটনার রাতে গাজীপুরে থাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।