
অনলাইন ডেস্কঃ
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে জমি ও টাকা না দেয়ায় মাকে গলা কেটে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার চকমিরপুর ইউনিয়নের মান্দারতা গ্রামে এ নৃশংস ঘটনা ঘটে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক নিহতের বড় ছেলে রবি ভদ্র (৪২)।
নিহত করুনা ভদ্র(৬৫) ওই গ্রামের মৃত বাঁশি ভদ্র সরকারের স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননী। হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এ আর আলম মামুন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মা করুনা ভদ্রের নামে বাড়ির ১১৪ শতাংশ জমি রয়েছে। পোস্ট অফিসে টাকা জমা আছে প্রায় ৯ লাখ । এই টাকা ও জমি লিখে দেয়ার জন্য মাকে অনেকদিন ধরেই চাপ দিয়ে আসছিল লিভারজনিত রোগে গুরুতর অসুস্থ রবি ভদ্র। এ নিয়ে মা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। গত বুধবার এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। রাতে মা করুনা ভদ্র তার ৬ বছরের নাতনিকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পাশের রুমে স্ত্রীসহ ঘুমিয়ে ছিলেন বড় ছেলে রবি ভদ্র।
রবি ভদ্রের স্ত্রী জয়া ভদ্র জানান, মধ্যরাতে মেয়ের কান্নার আওয়াজ শুনে তিনি পাশের রুমে যান। ঘরের বাতি জ্বালিয়ে দেখেন মেয়ের শরীর রক্তে ভিজে আছে। পাশেই পড়ে আছে শাশুড়ির গলাকাটা মরদেহ। এসময় তার স্বামী ঘরে ছিলো না। বাড়ান্দার গেটে বাইরে থেকে তালা লাগানো ছিল বলেও জানান তিনি।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.আর আলম মামুন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাকে নৃশংসভাবে হত্যার পর গেটে তালা দিয়ে ছেলে রবি ভদ্র পালায়। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্ততি চলছে বলেও জানান তিনি।