
অনলাইন ডেস্কঃ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার চকবাজার এলাকায় দোকানের জমি ও খেয়াঘাট দখলকে কেন্দ্র করে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জেলা কমিটির প্রথম যুগ্ম সমন্বয়কারী আতাউর রহমান। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের একটি রেষ্টুরেন্টের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ দাবি তোলেন।
চকবাজারের নির্দিষ্ট ওই জমি তার কেনা এমন দাবি করে আতাউর রহমান বলেন, মানবিক কারণে সেখানে দু’জনকে থাকতে দিয়েছিলাম। এরপর তারা দুজন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়ায়। কয়েকমাস আগে আমি আমার জায়গায় পাকা ঘর করতে গিয়ে দুজনকে জায়গা ছাড়তে বলি। এতে এক পক্ষ চলে গেলেও আরেকজন যেতে আপত্তি জানায়। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের আহ্বায়ক ফরিদ আহমেদের যোগসাজশে তার ভাই কালাম ও ভাতিজা জুয়েলকে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মানববন্ধন করে।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের এই আহ্বায়ক আমার কাছে বাজারের নৌকাঘাট ইজারা নেয়ার জন্য ইউএনওর কাছে তদবিরের সুপারিশ করার অনুরোধ জানিয়েছিল। বিষয়টি প্রত্যাখান করায় ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। নৌকা ঘাটের বিষয়ে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নাই বলেও দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুপ রতন সিংহ বলেন, আওয়ামী লীগ কিংবা এনসিপি নেতা যারা চকবাজারের অস্থায়ী খেয়াঘাট নিয়ে নানান কথা বলছেন তারা কেউই খেয়াঘাটের দায়িত্বশীল কেউ নন। দায়িত্বশীল হচ্ছে, স্থানীয় মসজিদ-মাদ্রাসাসহ ৭টি প্রতিষ্ঠান; তারা খেয়াঘাট পরিচালনার দায়িত্বে আছেন। বিষয়টি তারা ভালো জানবেন। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত তার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি বলেও জানান তিনি।
এদিকে গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দখলের প্রতিবাদে ওই এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন ব্যবসায়ীরা। সেখানে জুয়েল আহমদ অভিযোগ করে বলেন, চকবাজারে ‘জুয়েল স্টোর’ নামে তার একটি দোকান আছে। পাশেই তার চাচার আরেকটি দোকান। এই দুই দোকানের পেছনে তাদের কিছু খালি জায়গা আছে। ওই খালি জায়গার পেছনে বিরোধপূর্ণ কিছু জমি কিনেছেন বলে সম্প্রতি বাজারে প্রচার করেন এনসিপি নেতা আতাউর রহমান। জমিটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি।
অন্যদিকে এনসিপি জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন দোয়ারাবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের আহ্বায়ক ফরিদ আহমেদ তারেক।
এ বিষয়ে এনসিপির সুনামগঞ্জ জেলার প্রধান সমন্বয়কারী দেওয়ান সাজাউর রাজা চৌধুরী বলেন, একজন ব্যবসায়ী আমার কাছে আমার দলের এক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে এসেছেন, আমি সেটা গ্রহণ করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। কেন্দ্র অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিবে।
অভিযোগকারী যে আওয়ামী নেতা সেটা তিনি জানতেন না বলেও জানান। বলেন, আওয়ামী লীগ হোক বা যেই হোক আমার দলের নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-দখলবাজির অভিযোগ আমি অবশ্যই নেব। আমার দলের নেতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আমার জন্য লজ্জাজনক।