
অনলাইন ডেস্কঃ
আট দলের যুগপৎ কর্মসূচির যে নিউজ হয়েছে তা মিস লিডিং বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও রাজনৈতিক লিয়াজোঁ প্রধান আরিফুল ইসলাম আদীব।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে এসব কথা বলেন আরিফুল ইসলাম আদীব।
পোস্টে তিনি লেখেন, ‘চার দাবিতে আট দলের যুগপৎ কর্মসূচির যে নিউজ হয়েছে তা মিস লিডিং। এনসিপি জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধানের যে দাবি সেটির সঙ্গে অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু পূর্ণ সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের বিষয় এনসিপির কোনো অবস্থান নেই। বরং এনসিপি শুধুমাত্র উচ্চকক্ষে পিআর বিষয়ে একমত।’
আরিফুল ইসলাম আদীব আরও লেখেন, ‘সন্ত্রাসী ও ফ্যাসিবাদের সহযোগী হিসেবে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিতের দাবির সঙ্গে এনসিপির সমর্থন থাকবে।’
প্রসঙ্গত, এর আগে দেশের কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, অবিলম্বে জুলাই সনদের বাস্তবায়নসহ ৪ দফা দাবিতে যুগপৎ কর্মসূচিতে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) আটটি রাজনৈতিক দল। শিগগিরই পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে দলগুলো কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলা চেষ্টা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক স্ট্যাটাসে এ প্রতিক্রিয়া জানান।
নাহিদ ইসলাম লেখেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্র ও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর লন্ডনে হামলার চেষ্টা হয়েছে। এর আগে আমেরিকায় হামলা ও অপদস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। বারবার মাহফুজ আলমের ওপর আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের হামলা, কারণ মাহফুজ আলমই টার্গেট। পরবর্তী ধাপে আমরা প্রত্যেকেই টার্গেট হবো। আমরা জানি আমাদের জন্য কী অপেক্ষা করে আছে। গোপালগঞ্জে ফ্যাসিস্টদের নৃশংসতা আমরা দেখে আসছি।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘মাহফুজ আলমের ওপর হামলার মৌন সম্মতি যারা তৈরি করছে তারাও ভুগবে। ফ্যাসিবাদ বিভাজনের রাজনীতি করে। মাহফুজ আলম গণঅভ্যুত্থানের পরে অন্তর্ভুক্তি এবং দায় ও দরদের রাজনীতির কথা বলছে। কিন্তু বাংলাদেশ সেই পথে হাঁটে নাই। আমরা দেখতে পাইছি ফ্যাসিবাদ বিরোধিতার নাম করে প্রতিক্রিয়াশীল ও প্রতিশোধের রাজনীতি শুরু করছে বিভিন্ন গ্রুপ যা অবশ্যম্ভাবীভাবে ফ্যাসিবাদকে ফিরায়ে আনবে।’
নাহিদ ইসলাম লিখেন, ‘সময় প্রমাণ করবে মাহফুজ আলমই সঠিক ছিল যদি ততদিন উনি বেঁচে থাকার সুযোগ পান।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘মাহফুজ আলমের ওপর হামলার ঘটনায় কোনোবারই অন্তর্বর্তী সরকার কোনো স্ট্রং পদক্ষেপ নেয় নাই। কোনো শক্তবার্তা দেয় নাই। কোনো উপদেষ্টা বা প্রেস সচিব একটা মন্তব্যও কখনো করে নাই। সরকার ও উপদেষ্টা পরিষদের ভিতরেও মাহফুজ আলমকে অপদস্ত ও হত্যার মৌন সম্মতি তৈরি করা হয়েছে। এই সরকার ও উপদেষ্টাগণ মাহফুজদের যথেচ্ছা ব্যবহার করে এখন মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা এগুলা মনে রাখছি। রাজনৈতিকভাবে এর জবাব দেওয়া হবে।’