
অনলাইন ডেস্কঃ
জাতীয় জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের তৃতীয় পর্বের আলোচনাতেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা হয়নি। সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে দলগুলো তাদের আগের অবস্থানেই অনড়।
এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক সমঝোতার আশায় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকার ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন এস.আর.ও নম্বর ৫৫-আইন/২০২৫ দ্বারা গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ ১৫ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত বর্ধিত করিল। ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
এ নিয়ে দুইবার বাড়ানো হলো ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ। এই কমিশন গঠনে গত ১২ ফেব্রুয়ারি জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই কমিশন কাজ শুরু করবে। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলোর সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে এবং এই মর্মে পদক্ষেপ সুপারিশ করবে এই কমিশন।
আর কমিশনের মেয়াদ কার্যক্রম শুরুর তারিখ থেকে ছয় মাস হবে তাতে উল্লেখ করা হয়েছিল।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি করে গঠিত হয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজকে এই কমিশনের সহসভাপতি করা হয়। সদস্য হিসেবে রয়েছেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফররাজ হোসেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
এই কমিশন গঠিত হওয়ার পর থেকেই তারা সংস্কার ও জুলাই সনদ ইস্যুতে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছে।