
অনলাইন ডেস্কঃ
জামায়াতে ইসলামী কিংবা কোনো ইসলামিক দল নয়, নির্বাচনের আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বেই হতে পারে নতুন জোট। তবে এর শর্ত একটাই- সেই দলকে হতে হবে- বাংলাদেশপন্থি। দলটির কেন্দ্রীয় দুই নেতা জানান, এ মাসের মধ্যেই নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে তারা। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরোদমে চলছে সাংগঠনিক বিস্তৃতি ও নির্বাচনি প্রস্তুতির কাজও।
দেশব্যাপী জুলাই পদযাত্রার মাধ্যমে অভ্যুত্থান পরবর্তী রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপি যেন প্রবেশ করে রাজনীতির মূল শেকড়ে। তবে সম্প্রতি ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলোতে জুলাই অভ্যুত্থানের নায়কদের ভরাডুবি এসেছে আলোচনায়। গোড়ায় গণ্ডগোল নাকি সাবেক সমন্বয়কদের সমন্বয়হীনতা? বিষয়টি কতটা ভোগাচ্ছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বন্ধু প্রতীম এনসিপিকে?
এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহবায়ক জাবেদ রাসিন বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ খুব বেশি দিন হয়নি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনের নেতাকর্মীরা যেতে পারেনি, এটি আমাদের ব্যর্থতা। তবে এর মানে এটা নয় যে, আমরা দলগতভাবে পিছিয়ে পড়ছি বা জাতীয় রাজনীতিতে এর প্রভাব পড়বে।
এনসিপি’র যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, যে রাজনীতির কথা আমরা বলেছি। সেই রাজনীতি অন্য কেউ করে আস্থা অর্জন করে দেখিয়েছে। আমাদের ছাত্র সংগঠন যথেষ্ট পরিমাণ শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে পারেনি।
এরই মধ্যে ইসলামি দলগুলোর সাথে জোট কিংবা যুগপৎ আন্দোলন না করার কথা পরিষ্কার করেছে, দলটির শীর্ষ নেতারা। তবে তারা এমন একটি নতুন নির্বাচনি জোট গঠনের কথা নিয়ে ভাবছে, যেখানে চালকের আসনে থাকবে এনসিপি।
সারোয়ার তুষার বলেন, এ মাসের মধ্যেই নিবন্ধন পেয়ে যাবো। আমরা যেহেতু বিশ্বাস করি যে আমরা একদিন বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেব। সেক্ষেত্রে আমরা মনে করি আমাদের নেতৃত্বে জোট হবে।
জাবেদ রাসিন বলেন, সব রাজনৈতিক দলের চিন্তা ভাবনা আছে। যারা বাংলাদেশপন্থি এবং মধ্যমপন্থি তাদের সঙ্গে আমাদের নির্বাচনী সমঝোতা হতে পারে। চিন্তার জায়গায় যেহেতু মিল আছে, তাতে জোট হতে পারে। তবে জোটের নেতৃত্ব এনসিপি দেবে।
বিএনপির সাথে বৈরিতা কিংবা জামায়াতের সাথে সখ্যতা এনসিপিকে নিয়ে আলোচনা আছে দুদিক থেকেই। তবে দলটির দাবি, বড় দুই দু’দলের কেউই তাদের প্রতিপক্ষ নয়। দলটির নেতারা মনে করেন, অন্য যা কিছু নিয়েই সংলাপ কিংবা সমঝোতা হোক, শেষ পর্যন্ত জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না হলে, নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে না। তাই, দ্রুত নির্বাচন চাওয়া দলগুলোকে এই পথটা সহজ করার আহ্বা এনসিপির।