
অনলাইন ডেস্কঃ
২০২৬ সালের হজ নিবন্ধনের কার্যক্রমের প্রায় ২ মাস হয়ে গেলেও হজযাত্রীদের সাড়া মিলছে না। ১২ অক্টোবর নিবন্ধনের সময় শেষ হবে। অথচ সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ এখনো ঘোষণা করা হয়নি। ২০২৬ সালে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে যাওয়ার কথা রয়েছে। বুধবার পর্যন্ত প্রাথমিক নিবন্ধন করেছেন মাত্র ১ হাজার হজযাত্রী। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬১৫ জন এবং বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৩৮৫ জন। প্যাকেজ ঘোষণা ছাড়াই নিবন্ধন শুরু হওয়ায় হজ যেতে আগ্রহীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।
হজ এজেন্সির মালিকরা জানান, হজ প্যাকেজের খরচ না জেনে অনেকেই নিবন্ধনের টাকা জমা দিতে চান না। প্রাথমিক নিবন্ধনের জন্য সাড়ে তিন লাখ টাকা নির্ধারণ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। যা এ বছর ছিল তিন লাখ টাকা। এতে হজযাত্রীরা এক ধরনের দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী বাড়াতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। যার ফলে প্রতিবছর সরকারিভাবে হজযাত্রীর সংখ্যা কমছে। অন্যদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে গিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন হজযাত্রীরা। তাছাড়া ২০২৫ সালের হজের খরচও প্রত্যাশিতভাবে কমেনি। এতে বিগত কয়েক বছর ধরে হজের কোটা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। এবারও একই আশঙ্কা রয়েছে।
হজের প্রাক-প্রাথমিক নিবন্ধন করেছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মনির হোসেন। তিনি বলেন, নিবন্ধনে কেমন খরচ হতে পারে স্পষ্ট ধারণা না পাওয়ার কারণে এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। প্রাথমিক নিবন্ধনের অর্থ দেড় লাখের বেশি হওয়া উচিত নয়। এ বিষয়ে হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আয়াতুল ইসলাম বলেন, হজ প্যাকেজ নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। খুব দ্রুত প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রাথমিক নিবন্ধনের সময়ের পর আর সময় বাড়ানো হবে না। সাড়ে ৩ লাখ টাকা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হচ্ছে। হজের প্যাকেজ ঘোষণা হলে বাকি টাকা পরিশোধ করে নিবন্ধন করতে হবে।
২০২৬ সালে পবিত্র হজ পালনের রোডম্যাপের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এবার মেডিকেল ফিটনেস (শারীরিক সুস্থতা) ছাড়া কেউ হজে অংশ নিতে পারবেন না। সম্প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের রোডম্যাপ হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব), হজ এজেন্সি ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোতে পাঠিয়েছে।