
অনলাইন ডেস্কঃ
বোলিংয়ে শুরুটা ভালো ছিল না বাংলাদেশের। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস বড় রানের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু মাঝের ওভারগুলোতে দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় মেহেদি হাসান, তাসকিন আহমেদরা। তবে স্লগ ওভারে মুস্তাফিজ ছাড়া আর কেউই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে পারেনি। তাতে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে দেড়শ ছাড়ানো সংগ্রহ পেয়েছে লঙ্কানরা।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তুর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। যেখানে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৭ বলে ৩ চার ও ৬ ছক্কায় অপরাজিত ৬৪ রান করেছেন দাসুন শানাকা। বল হাতে ৪ ওভারে ১৯ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট শিকার করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান।
আগে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত রান তুলতে থাকেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে ভয়ঙ্কর হতে থাকা নিসাঙ্কাকে সাইফ হাসানের ক্যাচ বানান তাসকিন আহমেদ। দলীয় ৪৪ রানে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ২২ রান।
এর কিছুক্ষণ পরই কুশল মেন্ডিসকে সাজঘরে ফেরত পাঠান শেখ মেহেদী হাসান। সাইফের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ৩৪ রান। কামিল মিশারাকে উইকেটে থিতু হতে দেননি মেহেদী। ১১ বলে ৫ রান করা এই ব্যাটারকে সরাসরি বোল্ড আউট করেন ডানহাতি এই স্পিনার।
দারুণ শুরু করা শ্রীলঙ্কা ৬৫ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। সেখান থেকে কুশল পেরেরাকে নিয়ে ছোট একটি জুটি গড়ে তোলেন দাসুন শানাকা। মুস্তাফিজের অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে থাকা লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে কুশল ফিরলে ভাঙে তাদের ২৭ বলে ৩২ রানের জুটি।
এরপর আসালাঙ্কাকে নিয়ে এগোতে থাকেন শানাকা। মোস্তাফিজের করা ১৭তম ওভারের চতুর্থ বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন এই ব্যাটার। পেছন দিকে কিছুটা দৌড়ে গিয়ে ক্যাচ তালুবন্দি করতে পারেননি শামীম। তার ক্যাচ মিসের মাশুল অবশ্য ভালোভাবেই দিতে হয়েছে টাইগারদের। শেষ পর্যন্ত ৩৭ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন শানাকা।
১২ বলে ২১ রান করা আসালাঙ্কা কাটা পড়েন রানআউটে। এরপর ১৯তম ওভারে কামিন্দু মেন্ডিস ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের হয়ে মোস্তাফিজুর নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া মেহেদী হাসান ২টি ও তাসকিন আহমেদ নেন ১টি উইকেট।