
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
৮০ এর দশকের সাবেক ছাত্রনেতা, ঢাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, ক্লিন ইমেজের অধিকারী কাজি জাহিদুল ইসলাম অমল খুলনা মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে আবারও সক্রিয় হচ্ছেন। জানা গেছে, এলাকাবাসীর আগ্রহ, দলের নেতা-কর্মীদের চাপে অমল এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন। ইতমধ্যেই দলের ঢাকার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও শুভাকাঙ্খীদের সাথে আলোচনা করেছেন।
২০১৮ এর নির্বাচনে অমল খুলনা ৩ আসনে বিএনপি থেকে জোরালো প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু খুলনা- ৩ আসনে গত নির্বাচনে দলের সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ ভজন রফিকুল ইসলাম বকুল দলীয়ভাবে চুড়ান্ত প্রার্থী হলে অমল প্রার্থী হতে ইচ্ছুক অন্য পাঁচজন বিএনপি নেতাকে নিয়ে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে আসেন এবং বকুলের পক্ষে কাজ করেন। যদিও পরবর্তীতে দলের সিদ্ধান্তে বকুল নির্বাচন থেকে নিজেকে সরে আসেন।
৮০ এর দশকে অমল বিএল কলেজে পড়াকালীন সময়ে ছাত্রদলের রাজনীতিতে হাতে খড়ি নেন। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তুখোড় ছাত্রদল নেতা হিস্যবে নিজেকে গড়ে তোলেন। একটি আবাসিক হলে ভিপি পদে ছাত্রদলের হয়ে নির্বাচনও করেন। বিএনপির মুখপাত্র, দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি সেই সময়ে রাকসুর ভিপি ছিলেন। অমল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের কিংবদন্তি নেতা ছিলেন। অমল ব্যবসায়ের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি ছিলেন। এর আগে ২০০৬ এ ওয়ান ইলেভেনের সময়ে তারেক রহমানের নির্দেশে দলের হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে সংযুক্ত ছিলেন।
রাজধানীর বারিধারা ডিওএইচএস এ নিজ অফিসে অন লাইন নিউজ পোর্টাল প্রথম সময় নিউজ ডটকমের সাথে আলাপকালে অমল জানিয়েছেন, তিনি নির্বাচনি এলাকার জনগন, দলের হাজারও নেতা- কর্মীদের চাপে খুলনার বিএনপি রাজনীতির সাথে এবার যুক্ত হবেন। ইতিমধ্যেই খুলনা শত শত নেতা- কর্মী দলে সক্রিয় হবার জন্য অনুরোধ করে যাচ্ছেন।
দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে সার্বক্ষণিক কথাবার্তা হচ্ছে। এর বাইরে অমল গত কয়েক বছর খুলনা নগরীর দৌলতপুর- খালিশপুর- খানজাহান আলী থানা মিলে খুলনা- ৩ আসনের বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছেন। এটা অমলের নির্বাচনী এলাকার মধ্যে পড়ে। অমল জানান তিনি এবারও নির্বাচনে মনোনয়ন চাইবেন। আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যদি প্রয়োজন মনে করেন, তাহলে তিনি মনোনয়ন চাইবেন, না দিলে তিনি দলের সিদ্ধান্ত আগামীতেও মেনে নেবেন