
অনলাইন ডেস্কঃ
৫ অগাস্টের মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
রোববার (২৭ জুলাই) শেরপুর শহরের থানা মোড়ে এসসিপির পদযাত্রায় তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আগামী ৩ আগস্ট ঢাকায় সমাবেশ। আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে যেকোনো মূল্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রদান করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ঐকমত্য কমিশন বলেছে ২-৩ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ ঘোষণা করবে। যদি না করে আমরা শহীদ মিনারে আদায় করে নেবো।
শেরপুরসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে পুশইন করা হচ্ছে উল্লেখ করে এ ছাত্রনেতা বলেন, আমরা এর বিরোধিতা করেছি। এই অঞ্চলের মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বনাঞ্চল ধ্বংস হওয়ায় হাতি লোকালয়ে চলে আসে। শিক্ষা-স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে রয়েছে এই অঞ্চল।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছরের মধ্যেও আমরা কোনো দৃশ্যমান বিচার দেখিনি। আওয়ামী লীগের দোসররা প্রশাসনে ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে। গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ছোবল মেরে উঠতে চেয়েছিলো, গোপালগঞ্জ কেন সারাদেশের কোনো জায়গায় আমরা মুজিববাদকে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেবো না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগের এমপিদের যারা পৃষ্ঠপোষকতা করছে তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
তিনি আরও বলেন, এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাষ্ট্রের ক্ষমতা থাকতে পারবে না। জুলাই ঘোষণাপত্র অবশ্যই জারি করতে হবে এবং নতুন সংবিধানে তা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
এছাড়া এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেন, বাংলাদেশে আমরা কাউকে পীর মানবো না। আগামীর বাংলাদেশ প্রতিরোধের বাংলাদেশ। দেশ হবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার বাংলাদেশ।
এ সময় দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিলো পুলিশ সংস্কারের, কিন্তু পুলিশ সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। শুধু নির্বাচনের আলাপ। সবচেয়ে বেশি দরকার পুলিশ এবং শিক্ষা সংস্কার কমিশন। থানায় নতুন পুলিশ সদস্য দেয়ার কথা ছিল সেগুলো দেয়া হয়নি।
সমাবেশে এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী নাসিরউদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহসহ শেরপুরের বিভিন্ন উপজেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।