
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘নানা অজুহাতে মিথ্যা মামলা হচ্ছে, এটা অস্বীকার করছি না। তবে, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের মতো এই মামলা রাষ্ট্র কিংবা পুলিশ করছে না। বরং সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মামলা মানেই গ্রেফতার নয়। যখন কাউকে মিথ্যাভাবে আসামি হিসেবে ফাঁসানো হয়, তখন চার্জশিট দাখিলের আগে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হয়। তদন্ত এবং যাচাই-বাচাই শেষে প্রকৃত অপরাধীদের ধরা হবে। আমরা ন্যায়বিচারের দ্বার সবার জন্য উন্মুক্ত রেখেছি।’
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘গত ১৫ বছরে ৬০ লাখেরও বেশি লোককে মামলায় আসামি করা হয়েছে। বেশির ভাগ মামলা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো দায়ের করেছে। পুলিশ আর মিথ্যা মামলা দেয় না।’
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না। শহীদ অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের রক্তের বিনিময়ে এই জাতি আবার ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এভাবে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যাবে। বাংলাদেশে কোনও সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা নেই। সাম্প্রদায়িক বিভেদ নেই। একটি বিশেষ গোষ্ঠী, বিশেষ মহল ও একটি বিশেষ রাষ্ট্র সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের জন্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে সাংবাদিক কিংবা অন্য যে-কেউ জড়িত থাকুক না কেন, আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। মনে রাখা দরকার, সাংবাদিকদের হাত লম্বা, কিন্তু আইনের হাত আরও লম্বা এবং রাষ্ট্রের হাত আরও লম্বা।’
মতবিনিময়ের আগে অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানসহ ঢাকা থেকে আসা সিনিয়র আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অতিরিক্ত অ্যাটার্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট বদরুল আনোয়ার লোহাগাড়ায় গিয়ে নিহত অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত করেন। তারা সাইফুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব অন্তর্বর্তী কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে এবং অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য গ্লোবাল টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান গোলাম মাওলা মুরাদের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন– অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্যসচিব জাহিদুল করিম কচি, অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য মুস্তফা নঈম, এনটিভির ব্যুরো প্রধান শামসুল হক হায়দরী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন সিএমইউজে সভাপতি মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ, সিএমইউজের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, ওয়াহিদ জামান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাসেল আহমদ।