
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নতুন বছরের জানুয়ারী থেকেই কেমিক্যাল ব্যবসায়ীরা সরকারি গোডাউন ভাড়া নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান।
রবিবার পুরান ঢাকার মিডফোর্ডে বাংলাদেশ কেমিক্যাল অ্যান্ড পারফিউমারি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের দপ্তরে আয়োজিত এক কর্মশালায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রাসায়নিক গুদাম নির্মাণ প্রকল্পের ফায়ার ফাইটিং, আন্তর্জাতিক রাসায়নিক নিরাপত্তা, রাসায়নিক পদার্থ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
মো. মনিরুজ্জামান বলেন, কেমিক্যাল জন্য সরকারি গোডাউন নির্মাণ শেষ দিকে। জানুয়ারিতে আমরা এটা ভাড়া দেবো। ২০১২ সালের মত চুরি হাট্টায় যে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ঘটেছে, তা যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। সেটার শিক্ষা নিয়ে আমরা সতর্ক থাকব, যাতে কোনো জানমালের ক্ষয়ক্ষতি না হয়। সে বিষয়টি সামনে রেখে পুরো সিস্টেমটাকে স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি প্রসিডিউর করা হয়েছে। পুরো সিস্টেমকে আমরা আইটি বেইজড করছি এবং ব্যবহারকারীদের জন্য সহজ করা হচ্ছে। ৫৩টি রাসায়নিক গুদাম ব্যবসায়ীদের পণ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য মজুদের আধুনিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
প্রতিক্ষণ কর্মশালা নিয়ে তিনি আরও বলেন, বিএসইসি এই ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালিয়ে যাবে, যাতে দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি ঘটে এবং সমস্ত শিল্পখাতে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যঝুঁকি কমিয়ে আনা যায়। এ ধরনের প্রশিক্ষণ সারা দেশের বিভিন্ন শিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
এর আগে কেমিক্যাল ও পারফিউমারী ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা এবং পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আরও দক্ষতা অর্জনের জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় রাসায়নিক গুদাম ও সংশ্লিষ্ট শিল্পে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক সঠিক জ্ঞান দেওয়া হয়।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, বিএসইসির পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. মঞ্জুরুল হাফিজ বিপিএএ, ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের ডিরেক্টর, কেমিক্যাল ও পারফিউমারী ব্যবসায়ীরা এবং বিএসইসির সচিবসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।